Wednesday, November 30, 2016

চিকিৎসকের সম্মান তলানীতে ঠেকেছে, এবার পাত্র ফুটা হয়ে শূণ্য হবার বাকি

ডা. আবদুন নূর তুষার

______________________________


এস এস সি, এইচ এস সিতে ভালো ফলাফল করার পর দেশের সবচাইতে কঠিন একটি ভর্তি পরীক্ষা পার হয়ে তাকে শুরু করতে হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের পড়াশোনা।

এমবিবিএস হতে তাকে পাঁচ বছর জীবনপণ করে পড়তে হয়।

প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষা দিয়ে , কঠিন পেশাগত পরীক্ষা দিয়ে সে ডাক্তার হবার পর ইন্টার্ণ করে একবছর।

এর মধ্যে এফ সি পি এস বা এম ডি করলে তার আরো লম্বা সংগ্রাম !

তারপর বেসরকারী খাতে তার সর্বোচ্চ বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার।

আর সরকারী বেতন ২৩ হাজার ১০০ যোগ বাড়ী ভাড়া ও অন্যান্য ...মোট বড়জোর ৩২ হাজার টাকা

টাকাটা অনেক মনে হচ্ছে?

ঢাকা শহরে একজন চিকিৎসক বাড়ী ভাড়া পাবেন মূল বেতনের ৫৫% , অন্য সিটি কর্পোরেশনে ৪৫% আর বাকি সব শহরে ৪০%।

সর্বোচ্চ ৯৬০০ টাকা। ঢাকা শহরে মেসে থাকা যায় এই টাকায়।

একজনেরই জায়গা নাই, স্বামী বা স্ত্রী, সন্তানসহ, ডাক্তার কোথায় থাকবেন এই টাকা দিয়ে?

আর বেসরকারী খাতে বাড়ীভাড়া , চিকিৎসা ভাতা, কিছুই নাই। নাই বোনাস।

একটা নিয়োগপত্রও অনেক ক্লিনিক দেয় না।

ডাক্তারদের ভিজিট বা ব্যক্তিগত সম্মানী ধার্য্য করে দিচ্ছেন সরকার।

প্রাইভেট প্র্যাকটিস সবার সমান হয় না।

এটা অনেকটা গানের শিল্পীদের মতো।

সবাই গান গায় কিন্তু সবার জনপ্রিয়তা ও সম্মানী এক না।

কোন ডাক্তার যদি অতিরিক্ত পয়সা চান, রোগীরা তার সম্মানীর চাপ নিতে না পারলে তার প্র্যাকটিস কমবে।

তার চাহিদা কমে যাবে।

এটা সরকারীভাবে ধার্য্য করলে, সকল ব্যক্তিগত পেশাগত কাজের মূল্যও ঠিক করে দেয়া উচিত।

যেমন গানের শিল্পী মমতাজ আপা বা রুনা লায়লা কত টাকা নেবেন- বা একজন উকিল, ব্যারিস্টার রফিকুল হক বা কামাল হোসেন কত নেবেন- বা একজন স্থপতি খালিদ মাহমুদ পলাশ বা ইকবাল হাবিব কত নেবেন- সেটাও বলে দেয়া দরকার।

এটা ঠিক হবে না, কারণ এদের মতো মানুষ খুব বেশি নেই, এরা ইউনিক, একমে-বা- দ্বিতীয়ম !

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ডাক্তারদের চাকুরী, বেতন, সুবিধা বা দাবী দাওয়া নিয়ে গত ২০ বছর ডাক্তারদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিএমএ কি করেছে, তার বিবরন লিখতে বললে ডাক্তাররাই লজ্জা পাবেন।

আরো লজ্জা হলো, ভিআইপি রোগী হাসপাতালের বারান্দায় দাড়িয়ে মোবাইলে কথা বলার সময় জনৈক অধ্যাপক তার বুকে স্টেথো দিয়ে হৃদযন্ত্রের শব্দ শুনছেন, এমন ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।

চিকিৎসাবিদ্যার প্রাথমিক জ্ঞান আছে এমন লোকেরাও জানেন, রোগী কথা বলবে আর ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করবে বারান্দায়, এটা অমার্জনীয়।

এটা চিকিৎসাবিদ্যার অপমান।
যারা নিজেরা নিজেদের সম্মানের জন্য লড়েন না, তাদের জন্য অন্যরা লড়বে কেন ? সম্মানই বা দেবে কে ?

চিকিৎসকের সম্মান তলানীতে ঠেকেছে, এবার পাত্র ফুটা হয়ে শূণ্য হবার বাকি ।
____________________________
ডা. আবদুন নূর তুষার । সুলেখক। কলামিস্ট। জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক।

>> কালেক্টেড পোস্ট <<

Sunday, November 27, 2016

হ,বেশি কইরা ডা. হ

ঘটনা-১:

বাংলাদেশ ব্যাংক ডাক্তার নিচ্ছে।২০০৯সালের ৯ম স্কেল(১১,৯০০টাকা),কোন ডেপুটেশন নাই।আসন ৩টি।যাতায়াতের পথে পরীক্ষার্থীদের সাথে উৎসুক হয়ে কথা বল্লাম।ইডেন কলেজ ডাক্তার দিয়ে সয়লাব।

ঘটনা-২:

প্রতি বছর বুয়েটে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় বড় ডাক্তার হবার জন্য।এবার ইডেন অব্দি সিট ফেলতে হয়েছে।এবং রেসিডেন্সির অনেক সুবিধাও হ্রাস করা হয়েছে।কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে এই পরীক্ষাটাই সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতার পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে,১:২০।

ঘটনা-৩:

বাসার পাশে আলহেলাল হাসপাতাল,বেতন দেয় প্রায় ২মাস পরপর,সবাই জানে সে কথা,তবু ১৮০০০টাকার চাকরির সিরিয়াল পাবেননা সেখানেও।প্রতি বছর অংবংচং ও তথাকথিত ভাল মেডিকেল দিয়ে গিজগিজ করছে ডাক্তার।
৩৩০০জনে ১জন হলেও,বিখ্যাতরাই ধরে আছেন ১জনে ২০হাজার জন করে রোগী।
নতুন মেডিকেল প্রতি কোটি টাকা ঘুষের লেনদেন চলছে অনুমোদনের
আর ১০টা বছর এইভাবে যাইতে দেন,
দেখেবেন ৮হাজার টাকার চাকরির জন্য লড়াই করবে ৮হাজার "মাবাবার বেকার সন্তান=এমবিবিএস"
এবং
 ১৫বছরের মধ্যে উপজেলা দখলের জন্য বেপরোয়া হয়ে যাবেন কনসালট্যান্টরা

হ,বেশি কইরা ডা. হ

রোদ্দুর ডা.নূরুল হুদা খান to প্ল্যাটফর্ম

Tuesday, November 22, 2016

আমাকে আর ছোট করোনা এই দেশের মানুষের কাছে।

#আমাকে নার্সের সমপরিমাণ ১৮ হাজার টাকা বেতন দিয়ে, আমার কাছ থেকে ডাক্তারের সার্ভিস আশা করো না।

#আমাকে ৪ বছর বিনা বেতনে ডিউটি করিয়ে, আমার কাছে থেকে উদারতা আশা করোনা।


#আমাকে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে কার্যসিদ্ধি করে, আমার কাছে বৈষম্যহীন আচারন চেওনা।

#আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ফর্ম ফিল আপ করিয়ে, ১০ টাকার বোতলের ফ্রেস পানি দিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে, ফ্রি রোগী দেখতে বলোনা।

#আমাকে আজিজের বদ্ধ রুমে রেখে সামাজিকতা শিখতে বলোনা।

#আমাকে ৫০/১০০ টাকা ভিজিট দিয়ে, আমাকে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রিতে বাধা দিওনা।

#আমাকে সরকারি পানিঝরা ছাদের তলায় আর ফ্যানহীন উত্তপ্ত রুমে রেখে, মাথা ঠান্ডা রাখতে বলোনা।

#আমার হাস্পাতালে সব ইনভেস্টিগেশন সুবিধা না রেখে, আমাকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠাতে বারণ করোনা।

#আমাকে লোকাল বাসে উঠিয়ে, ২৪ জায়গায় থেমে ঠিক সময়ে আসতে বলোনা।

#আমাকে তদবির করে চাকরি দিয়ে, সততার বাস্তব উদাহরণ হতে বলোনা।

#আমাকে হাজার টাকা খরচ করে কোর্স করিয়ে সেটা নামের পাসে লিখতে বারণ করোনা।

#আমাকে ১০,০০০ টাকায় মাস চলা রেসিডেন্স বানিয়ে, অন্য চাকরি করতে মানা করোনা।

#তুমি আমাকেই না ভালোবাসে, রোগীকে ভালোবাসতে শিখিয়ো না।

সর্বোপরি আমাকে আর ছোট করোনা এই দেশের মানুষের কাছে।না হয়, আমি যেদিন তোমাদের চেয়ারে বসবো, আমি তোমাদের চেয়েও খারাপ মানুষ হব, হয়ে উঠবো উন্নত মস্তিস্কের লোভী একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষিক রোগী।

>> কালেক্টেড পোস্ট <<

Thursday, November 17, 2016

সত্য ঘটনার উপরে ভিত্তি করে লেখাটা লিখা (অতি গোপনীয়)

শুনলাম, ট্রেনিং পোশট নিয়ে ভানুমতির খেলা শুরু হয়েছে। এ জিনিসটা অনেক আগেই আন্দাজ করেছিলাম। অনেক মেডিকেল কলেজ কিন্তু ট্রেনিং পোশট নেই।পোশট গেল কই? অনেক পুরানো এই লেখায় জবাব পেতে পারেন।
 ২ মার্চ , ২০১৫ সালের লেখা এটি।
..........................................................................................................

আইজকে আমি আপনাদের যেই গল্পটা বলবো সেইটে আপনেরা সকলে জানেন। হয়ত অনেকে জানেও না।
আমি মেলা হীশাব নিকাশ কইরে দ্যাখলাম, ডাক্তার আছে তিন পদের। একপদ এম বি বি এস পাস দিয়া বিসিএস দেয়, গেরামে যাইয়া কাচা টেকা পয়সা দেইখখা লোভ সামলাইতে পারে না , এইডা করে ,ওইডা করে , আল্ট্রা করে, ফোড়া কাডে আর মাল কামায়। এগো জীবনের মকছদ আর কিছুই থাকে না। শেষ বয়সে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চীফ হয়, নাইলে সিভিল সার্জন হয়।

গল্পের সুবিধার জন্য মনে করি , দ্বিতীয় শ্রেনীর প্রতিনিধি একজন এর নাম "লাবনী" আর তৃতীয় শ্রেনীর একজনের নাম "জাফর "
দ্বিতীয় পদের ডাক্তার (লাবনী) হইলো বাপ মা এর আদরের দুলাল আর দুলালী। বাপের বেশুমার কালো টেকায় তারা ভিকারুন্নেছায় পড়ে , নটরডেমে পড়ে ,ইন্টার পাস সরকারী কুনু জায়গাতে চান্স পায়না। শেষে গিয়া ভর্তি হয় হয় ব্রাক ভার্সিটিতে নাইলে একটা বেসরকারী মেডিকেলে।

তৃতীয় পদের ডাক্তার (জাফর) হইলো , মধ্যবিত্ত পরিবারের যাগো আব্বা ছোট খাট চাকুরী কইরা অনেক কস্ট কইরা পোলা মাইয়ারে ডাক্তার বানাইছে নিজের মানসিক শান্তির জন্য, আর পোলাটা / মাইয়া টা যেন দুধে ভাতে থাকে সেই জন্য নিজে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম কইরা পোলাপানরে মানুষ করে।

প্রথম পদের ডাক্তারদের কথা বাদ। তারা সিভিল সার্জন হইবো, তারা গ্রামে টাকা কামাইতেছে, কামাইতে থাকুক।
দ্বিতীয় শ্রেনীর ডাক্তাররা (লাবনী) কিভাবে তৃতীয় শ্রেনীরে ( জাফর) শোষন করতেছে আজ তার গল্প বলি। যারা বেসরকারী মেডিকেলে ভর্তি হয়, স্বাভাবিক ভাবেই তারা সরকারীতে পরুয়াদের থেকে মেধায় অনেকাংশে দূর্বল ( তবে বেসরকারীতে প্রচুর ভালো ছাত্র আছে যারা এফ সি পি এস / এম ডি তে চান্স পাচ্ছে) ।

দূর্বল মেধার এত বিপুল সংখক চিকিতসক প্রতি বছরই নামসর্বস বেসরকারী মেডিকেল থেকে পাস করে বের হচ্ছে। এরা এত বছর কোন পোস্ট গ্রাজুয়েশন পরীক্ষায় কিছু করতে পারতো না। এদের সময় কাটতো বিভিন্ন ক্লিনিকের খ্যাপ বা ডিউটি নিয়ে কামড়া কামড়ি করে।

৩৩ তম বিসিএস এই বিশেষ শ্রেনীর জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসে। ৬৫০০ জনের বিপুল সঙ্খ্যক নিয়োগের জন্য ,যারা হয়তো জীবনেও কোনদিন বিসিএস এ কোয়ালিফাই করতে পারতোই না, তারাও চাকরী পেয়ে যায়। চাকুরী হইলো, এইবার পোস্টিং যখন হবে তখন এই লাবনীর মনে অনেক দুর্ভাবনা। কারন তার দেশের বাড়ী সন্দ্বীপ। সেখানে পাঠাইলে তার ঢাকার ঠাটবাট আর থাকবে না। আর জাফরের বাড়ি হইলো সাভারে। পোস্টিং এর সময় লাবনী প্রতাপশালী পিতার অঙ্গুলীহেলনে নিজ নিজ থানায় পোস্টিং এর নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে লাবনীর পোস্টিং হয় জাফরের উপজেলায়, সাভারে। আর জাফরকে যাইতে হলো সন্দীপে।

সাভারে কিছুদিন থাকার পরেই লাবনীর আর ভালো লাগেনা, ঢাকা থেকে সাভার অনে এ এ এ ক দূরে, আর কেমন যেন ময়লা ময়লা লাগে সবকিছু। সে ডিজি হেলথে যায় । তার অনেক সখ ছিলো ঢাকা মেডিকেলে পড়ার। পড়তে যেহেতু পারে নাই, এসিস্টেন্ট রেজিস্ট্রার হইয়া সে দেখাইয়া দিবে যে খবিরুন্নেছা মেডিকেল থেকে পাস করেও ঢাকা মেডিকেলে ঢোকা যায়। কিন্তু মাত্র চাকরির ৬ মাস অতিক্রান্ত হোওয়ায় এবং এফ সি পি এস/ এম ডি পার্ট ১ না থাকায় ডিজি তারে দিলো ফিরাইয়া। তখন লাবনী গেল তার আব্বুর কাছে, আব্বু আবার তার জাদু দেখাইলো। ফলে ৩৩ বি সি এস সহকারী সার্জন লাবনী চাকরীর ৬ মাসেই , কোন পার্ট ১ ছাড়াই সরাসরী ঢাকা মেডিকেলের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়ে গেল।

এইবার আসেন দেখি, জাফর কি করে? সে দুই বছর সাগর পাড়ি দিয়া লাবনীর এলাকার লোকজনকে সেবা দিয়া গেল । তারপরে যখন দুইবছর শেষ হইলো, সিলেট মেডিকেলের সাবেক ছাত্র , মেডিসিনে এফ সি পি এস পার্ট ১ পাস করা জাফর গেল ঢাকা মেডিকেলে একটা ট্রেইনিং পোস্ট এর জন্য । কিন্তু সেখানে কোন পোস্ট খালি ছিলো না। যা খালি ছিল, তা লাবনীরা সব দখল করে রেখেছে দেড় বছর আগেই। জাফরদের এখন দীর্ঘদীন গ্রামেই থাকতে হবে। ট্রেনিং ? সে তো দুরাশা

( সত্য ঘটনার উপরে ভিত্তি করে লেখাটা লিখা। গত ৩ মাসে ৩৩ বিসিএস প্রায় ৩৩ জন চিকিতসক নিয়ম বহির্ভুত ভাবে বিভিন্ন মেডিকেলে পোস্টিং নিয়েছেন। এমনকি গতকালও তায়রেন্নুছা মেডিকেলের সাবেক ছাত্রকে আই এম ও পদের একটি সরকারী মেডিকেলে পদায়ন করা হয়। এই সব অর্ডার অতি গোপনীয়। হাতে হাতে তৈরী করে হাতে হাতেই দিয়ে দেয়া হয় )

Sunday, November 13, 2016

কারন আমি মরে যাবো। আজ নয়তো- কালই।

১.
-বাবা ক্লাস ফাইভে কিন্তু ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেতেই হবে।না হলে জীবন বৃথা।
-আচ্ছা পেলাম।
২.
-ক্লাস ফাইভে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছো। অবশ্যই ক্লাস ৮ এ পেতে হবে।মিস করা যাবেনা।
-পেলাম না।
-তুই নষ্ট হয়ে গেছিস। লজ্জা করেনা তোর।
তোর তো মরে যাওয়া উচিত। চামার।
৩.
-এসএসসি তে তোর ভালো রেজাল্ট না হলে লোক হাঁসবে। ৮ এ বৃত্তি পাসনি এমনি তেই তুই নষ্ট। এবার তো প্রমাণ কর গোল্ডেন প্লাস পেয়ে।
-আচ্ছা পেলাম।
৪.
-ওসব অনেকেই এসএসসি তে পায়। তারপর কই হারায়ে যায়। পেয়ে দেখা না গোল্ডেন ইন্টারে কেমন পাড়িস?? আর না পাড়লে গার্মেন্টস এ যাহ। কাজ করিস।
-আচ্ছা গোল্ডেন পেলাম।
৫.
-মেডিকেল চান্স পেয়ে দেখা। তারপর দেখবি জীবন টা কত সুখের। চান্স না পেলে কি ছিড়বি? ওসব রেজাল্ট অনেকেই করে। না হলে আইএসএসবি দে লং কোর্সে যা।
-লং কোর্সে আই এসএসবি তে অ্যাটেন্ড করলাম না।চান্স ও পেলাম না।
-আরে তুই তো নষ্ট হয়ে গেছিস। বলেছিলাম না???
তোর চুলের যোগ্যতাও নাই বেঁচে থাকার। তুই তো বস্তির বখাটেরও অধম।আত্নহত্যা কর।
৯৯.৯৯% সিউর থাক তুই কোথাও ই চান্স পাবিনা আর।
৬.
-ঢাকা ডেন্টাল,
-পাবনা মেডিকেল কলেজ।
৭.
এমবিবিএস একবারেই পাশ করতে হবে।
- জানিনা।
তারপর??
৮.
-বিসিএস
তারপর??
৯.
-এফসিপিএস/এমডি/এম এস
পোস্টগ্রাজুয়েশন না করলে তোর আবার পরিচয় কিরে??
-তুই তো নষ্ট হয়ে গেছিস। পড়াশুনা করিস না। এমবিবিএস টা
পাশ করতে পারবি তো সারাজীবনে?
-পেটের ভাত টা তোর কই থেকে আসবে জানিস তো??
তোর মত আবালের/ফাঁকিবাজের ভবিষ্যৎ কি হবে জানিস তো??
১০.
-আচ্ছা ধরেন সব হলো।
এমবিবিএস,পোস্ট গ্রাজুয়েশন??? তারপর??
তারপর কি??
মরে যাবো না?
মরে যাবো তো?? না কি??
আর কত্ত চাপ??
কবে সুখ???
কিসের সুখ???
কিসের ভেতরে সুখ???
সম্মান??? মুখ দেখানো যাবেনা আমাকে নিয়ে??
নিজের মুখ টা দেখালাম না হয়???
আচ্ছা সব চান্স পেয়ে পরদিন যদি খুন হয়ে যাই??
অমিত ভাই এর মত রাতের আঁধারে সামান্য কিছুর লোভে কেউ যদি মেরে রেখে দেয়??
এই যে রাস্তায় মরছে?? প্রতিদিন।
পাতি নেতার মাস্তানি তে থাপ্পড় খেয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে...
জীবন কই??সম্মান??? কিসের সম্মান??
সুখ কই?? এসবে??
১১.
সেই তো ছোটবেলা থেকে বলে এসেছেন। পড়।
কলেজে গেলে তোর অই ভাইয়ার মত ভালো কলেজে পড়বি। অনেক সুখ পাবি।
-আমার বাল,বালের সুখ পাইছি।
তারপর শুনেছি,ভালো জায়গায় চান্স পেলে সুখ পাবি।
তোর অই চাচা বুয়েটে পড়ে।তোর অই মামা ডাক্তার।
-কই?? কই সেই অধরা শান্তি???
আমার মন জুড়ে এখন অশান্তি,বিষিয়ে ওঠা নরক যন্ত্রণা।
অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর উদর পূর্তির ভাবনা ভেবেই কাটালাম চিরকাল।
-আমার আর ভালো লাগেনা এসব।
আমি মন ধরে বেধে চেয়ার টেবিলে বসি কুত্তার মত পড়তে।
আমি পারিনা।
আমার সব ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছে করে।
আমার কিছুই ভালো লাগেনা।
-আমি সভ্য নই।
আমার স্থান মানুষ্যলয়ে নয়।
-আমি দুর্বল।
আমার স্থান ওপাড়ে।
#সফলতার আলো ঝলমলানির মেকি হাঁসি,
একটার পর একটা লক্ষ্যের পেছনে পশুর মত ছুটে চলা।
পকেট ভর্তি কাঁচা টাকা,
ব্যাংক ব্যালেন্স,নিজের বাড়ি, পার্সোনাল কার। আমার না বিন্দু মাত্র টানেনা কিছুই।
কারন আমি মরে যাবো। আজ নয়তো- কালই।
(Collected)