Tuesday, December 27, 2016

সামনে খারাপ দিন আসতেছে জুনিয়র ডাক্তারদের.;

সামনে যে খারাপ দিন আসতেছে জুনিয়র ডাক্তারদের, তা বলে শেষ করা যাবে না।
আগে ডাক্তাররা প্রাইভেট হাসপাতালে চাকুরি করতো বেতনের জন্য। আর সরকারী হাসপাতালে অনারারি ট্রেইনিং (HMO) করতো কাজ শিখার আশায়।।

চারিদিকে হাসপাতাল গুলোতে ধন্না দিচ্ছে চিকিৎসকরা CV নিয়ে মেডিকেল অফিসার পোস্টের জন্য। ।
কিন্তু সিট খালি নাই।।
 তাই প্রাইভেট হাসপাতাল গুলো, মেডিকেল অফিসারদের ট্রেইনিং নামে বেতন বন্ধ করে অবৈতনিক প্রথা চালু করতে যাচ্ছে ।।
 প্রাইভেট হাসপাতালে HMO নিয়োগ নবীন ডাক্তারদের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিবে।।

এক সময় দেখা যাবে - যারা বেতনে চাকুরি করছেন, তাদের সবাইকে চাকুরিচ্যুত করা হচ্ছে।। কারন HMO দিয়েই প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ চললে, বেতন দিয়া ডাক্তার রাখার কি দরকার। ।

প্রশাসন লাইনের চিকিৎসক ও BMA এর অনুরোধ - কোনো ভাবেই যেন প্রাইভেট হাসপাতাল এই প্রথা শুরু করতে না পারে।।
 চিকিৎসকদের পড়াশুনা ও পরিবারের স্বার্থ, পাশাপাশি ডিগ্রী করার অবলম্বন এইসব মেডিকেল অফিসার পোস্ট গুলো। তা যদি অনারারির ভীড়ে হারিয়ে যায়, ভবিষ্যৎ চিকিৎসকদের না খেয়ে মরতে হবে।।

আমাদের কিছু লোভী প্রফেসর এর কারসাজীতেই এমন দুই নাম্বারী করার সুযোগ পাচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতাল গুলো।।
কারন - তারা ওটি করবে ওয়ার্ড বয়, সিস্টার দিয়া। জুনিয়র ডাক্তার ডাকবে না, যদি 500 টাকা বেশী দেয়া লাগে।। তারা চায় - জুনিয়র ডাক্তার রা পথে বসুক।। তারা এটা ভাবে না - তারা যদি এই জুনিয়রদের না ডাকে, একদিন জুনিয়রের হাতেই বলি হবে বুড়া গুলা। ।
:( :(
(প্রমাণ -
)

>> কালেক্টেড পোস্ট <<

Sunday, December 25, 2016

ডিশোল্ডারিং ইফেক্ট ও রিক্তের বেদন


১......

■■প্রায় ৬ বছর আগের কথা। অভিজাত পাড়ার এক ঝলমলে প্রাইভেট হাসপাতালে মর্নিং ডিউটি করছি....
আমি ছিলাম CCU এর দায়িত্বে। হঠাৎ খবর এলো হাসপাতালের VIP কেবিনে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান ভর্তি হয়েছেন।আমি রিলাক্সড্ ফিল করলাম, কেবিনের দায়িত্ব আমার না....
রিলাক্সড্ অবস্থা বেশীক্ষণ স্থায়ী হলো না, মিনিটখানেকের ভেতরে কেবিনের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদ্বয় এসে জানালেন তারা আজকে CCU দেখবেন।দু'জনই আমার সিনিয়র। কাজেই ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হিসেবে আমাকেই আগুনের মাঝে ঝাঁপ দিতে হলো.....

■■পান্থপথের এক বিশেষায়িত হাসপাতালের কোন এক ছুটির দিন।কোনো এক ব্যক্তির মেজর অপারেশন হবে।মেইন সার্জন ওয়াশ নিয়ে বসে আছেন।যার অপারেশন হবে-তিনি এই দেশের আইন কাঠামোর সাথে সংশ্লিষ্ট এক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি। অন্য সময় অ্যাসিট্যান্ট সার্জনের অভাব হয় না, এবার অভাব দেখা গেলো। ......
হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি ও প্রাইভেট হাসপাতাল বাদ দেই।সরকারী হাসপাতালে আসি....

■■সকাল সকাল হাসপাতালে ঢুকে গত রাতে ইমার্জেন্সী ডিউটি করা ডাক্তারের সাথে কথা বলে মনটা খারাপ হলো।কথায় কথায় জানতে পারলাম,গতরাতে হার্ট ফেইলিউরের এক রোগীকে প্রয়োজনীয় একটি ইনজেকশন্( Frusemide) না দিয়েই উচ্চতর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।ডাক্তারের সাথে কথোপকথনের কিছু নমুনাঃ
আমিঃ আর কিছু না হোক, ইনজেকশন ফ্রুসেমাইড'টা দিতে পারতা, রোগীটা শ্বাসকষ্টে রাস্তায়ই মারা যেতে পারে.....
নাইট ডাক্তারঃ আরে রাখেন, রোগীর অবস্থা যায় যায়, ইনজেকশন দিমু ভালোর জন্য, পরে রোগী মারা গেলে মাইর তো খামুই, পরদিন পেপারেও 'ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু'তে আমার নাম থাকবো....
আমিঃ নিজের বাপ হইলে কি করতা?
নাইট ডাক্তারঃ ধূর মিয়া, আপনে ইনজেকশন দিয়েন।আমি দিমু না, নিজে বাঁচলে বাপের নাম.....


২.....

উপরের ঘটনাগুলোয় একটা জিনিস স্পষ্ট।অধিকাংশ চিকিৎসক পেশেন্ট ম্যানেজ করার আগে এখন নিজের Safety ও Security-এর কথা আগে চিন্তা করছেন, পরে পেশেন্ট ম্যানেজম্যান্ট। ঘটনা কিন্তু এরকম হবার কথা ছিলো না, আজ থেকে ১৫ বছর আগেও অবস্থা কিন্তু এমন ছিলো না.....

■■Bronchial Asthma( এক ধরণের শ্বাসকষ্ট) তে চিকিৎসক Hydrocortisone ইনজেকশন দেবার পর রোগী মারা গেলো।চিকিৎসাটি সঠিক ছিলো।পরদিন পেপারে খবর বের হলো, ' ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু'। চিকিৎসককে থানায় নিয়ে যাওয়া হলো....

■■এক নায়ক মারা গেলো।চিকিৎসকরা জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন, নায়কসাহেব তা অগ্রাহ্য করে বিদেশে যাবার মনস্থির করেছিলো, বিধাতা অবশ্য তাকে সে সময় আর দেন নি...
ফলাফলঃ বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হবার পরও কিছু চিকিৎসককে এখনো ঘন্টার পর ঘন্টা আদালত প্রাঙ্গনে হাজিরার জন্য বসে থাকতে হয়...

■■এক শিশু মারা গেলো।শিশু বিশেষজ্ঞ সঠিক চিকিৎসাই দিয়েছিলেন। জনতার প্রহারের সাথে তাঁকে হজম করতে হয়েছিলো অপসাংবাদিকতার রিপোর্টিংকেও......

এহেন অবস্থায় চিকিৎসকরা আগে নিজের পিঠ বাঁচাবেন, সেটি কি অস্বাভাবিক?.....


৩....
আপনারা বুঝবেন কিনা জানিনা-তবে একটা কথা বলি।কোন চিকিৎসকই চান না যে তার রোগী মারা যাক, এটা তার জন্য ডিসক্রেডিট....
এই অনন্ত নক্ষত্রবীথি যিনি সৃষ্টি করেছেন, তাঁর তুলনায় মানুষের ক্ষমতা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। সেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে চিকিৎসকেরা মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর সময় পাশে থাকেন, যেটা সরাসরি ডিল করেন মহাক্ষমতাবান সৃষ্টিকর্তা।
সেই ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়েই এই চিকিৎসকেরা সময় সময় আপনাদের জন্য এক বুক সাহস নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।এটা কি তুচ্ছ করার মত কোনো বিষয়?
এখন যদি প্রশ্ন করিঃ এদেশে চিকিৎসকরা কি Freely রোগীদের উপর রোগীর স্বার্থে তাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারছেন? যদি না পারেন, তবে কি বুঝতে পারছেন--তাদের কুণ্ঠাবোধের উৎস কোথায়?


৪....
কিছুদিন আগে পেপার পড়ছিলাম। 'চিকিৎসকের নৈতিক স্খলন'--শিরোনাম দেখে ভিতরে পড়া শুরু করলাম। পরকিয়া সংক্রান্ত রসালো ব্যাপার-স্যাপার।সাংবাদিক সাহেব যাকে চিকিৎসক বলে অভিহিত করেছেন, তিনি আদতে কোন চিকিৎসকই নন, একজন কোয়াক!
মৃত্যুশয্যা থেকে চিকিৎসকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা আর মহান আল্লাহ'র ইচ্ছায় খাদিজা ফিরে এলো, পেপারে একটার পর একটা হেডলাইন।সাংবাদিক সাহেবেরা একেকদিন একেকজনের প্রশংসা করেন।চিকিৎসকদের প্রসংশা করতে কোনো সাংবাদিক সাহেবকে এগিয়ে আসতে দেখিনি, এটলিস্ট আমার চোখে পড়েনি......
যে চিকিৎসক নয় তাকে চিকিৎসক বানিয়ে পরকীয়ার রসালাপ তৈরি করে চিকিৎসক সমাজের সুনাম নষ্ট করতে সাংবাদিক সাহেবদের দ্বিধা নেই( ব্যতিক্রম আছে), তাদের দ্বিধা হয় ভালো কাজের প্রশংসা করতে। হলুদ সাংবাদিকতা আর কাকে বলে!
সাংবাদিক সাহেবদের বলি--"ভুল চিকিৎসা"র কচকচানি বাদ দিন, চিকিৎসা ভুল না সঠিক ছিলো--সেটা এ বিষয়ের এক্সপার্টদের উপরে ছেড়ে দিন।তার চেয়ে বরং এক কাজ করুণ, লিখুন, "চিকিৎসকের অক্লান্ত চেষ্টার পরও রোগী মারা গেলো"....বিলিভ মি অর নট, আমি বাজি ধরে বলতে পারি, এদেশের চিকিৎসকরা তাদের ক্ষুদ্র লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়েই রোগী বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন.....


৫....
সাংবাদিকদের কথা বললাম, এবার এদেশের জনগণের কথা বলি....
প্রখ্যাত এক ব্যক্তিত্ব দেশের বাইরে মারা গেলেন।দেশে এসে তার নিকটাত্মীয়রা ভুল চিকিৎসার অভিযোগে কানাঘুষা শুরু করলেন, আমেরিকার ঐ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও শুনলাম। বলে রাখি, ঐ হাসপাতাল ও তার চিকিৎসকদের টিকিটিও তারা স্পর্শ করতে পারেন নি।সেটা বাংলাদেশ না....
বিদেশে কোটি টাকা খরচ করে মারা গেলেও সমস্যা হয় না, এদেশে পান থেকে চুন খসলে ডাক্তারদের লাঞ্ছনা করা হয়। এদেশের জনগণ ভুলে যায়-এদেশের প্রত্যেক চিকিৎসক কত সীমাবদ্ধতার মাঝে থেকে শত-শত রোগী দেখতে বাধ্য থাকেন।চিকিৎসকদের রূঢ আচরণ তারা করতে দেখেন, তার পেছনের কারণ তারা খুঁজতে যান না। এদেশের জনগণ ভুলে যায়, তারা ও তাদের দেশের চিকিৎসকেরা এই দেশেরই আলো-হাওয়া-মাটিতে বড় হওয়া। এদেশের জনগণ কেন এমন মনে করে যে, এদেশের চিকিৎসক থেকে বিদেশী চিকিৎসকদের দরদ বেশী হবে? মায়ের চেয়ে মাসীর মমতা কি কখনো বেশী হয়?

বিদেশে রোগী মারা গেলে মাথা নিচু করে এদেশে ঢোকেন, দেশে মারা গেলেই ডাক্তারের দোষ! হিপোক্রেসীর একটা লিমিট রাখুন। যে আচরণ বিদেশে গিয়ে করেন, তা এদেশে চিকিৎসকদের সাথে করে দেখুন, সে ভালোবাসার শতগুণ আমরা ফেরত দিব, We promise......


৬....
'জন্মিলে মরিতে হইবে'...কাজেই চিকিৎসক হিসেবে Sometimes we have to stop. কিন্তু সার্বিকভাবে চিকিৎসকরা এখন এতোটাই Insecured ফিল করেন যে, তারা এখন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকেও ডি-শোল্ডারিং করে চলছেন।এ অবস্থা সামগ্রিকভাবে শুভ নয়, কাম্য নয়....

শরৎচন্দ্রের দেবদাসে'র শেষ কয়েকটি লাইন আমার খুব পছন্দের।লাইনগুলো বলিঃ " মরণে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময় যেন একটি স্নেহকরস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে-যেন একটি করুণার্দ্র স্নেহময়মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়।মরিবার সময় যেন কাহারও এক ফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে"......
চিকিৎসক হিসেবে মানুষের সেবায় আমরা নিরন্তর ছুটে চলি।একটা সময় মৃত্যুর কাছে আমাদের থামতে হয়।এই সময়টা রোগীর সাথে সাথে চিকিৎসকেও এই দেশের প্রেক্ষাপটে এক কঠিন সময় পার করতে হয়।আমরা চাই, ' একটি করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে রোগীর জীবনের অন্ত হোক'।আমরা চাই একটি Dignified end of life এর। এদেশ কি আমাদের সে অবস্থা নিশ্চিত করার সুযোগ দিবে?

>> কালেক্টেড পোস্ট <<

Monday, December 19, 2016

সবার বোধদয় হোক।

১.
মাদ্রাসার ছাত্র, পড়া না পারায় হুজুরের মার খেয়ে ১ দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে আর মাদ্রাসায় যায় না। তার মা জিজ্ঞেস করে কি হল তুই মাদ্রাসায় যাস না কেন, ছেলে বলে পেট ব্যাথা, এই বলে ২ দিন হয়ে গেল, তাকে এলাকার বাজারের খুচরা ডাক্তার থেকে হরেক রকমের ড্রাগস এনে খাওয়ানো হল, কিন্তু পেট ব্যথা আর ভাল হচ্ছে না। তখন সেই খুচরা ডাক্তার বলে এপেন্ডিসাইটিস হতে পারে, জেলা সদরের বড় সার্জনকে দেখাতে হবে। এবার খুচরা ডাক্তার, ছেলে, ছেলের মা মিলে রওয়ানা দিল জেলা সদেরের উদ্দেশে। যাওয়ার আগেই খুচরা ডাক্তার ফোন করে সার্জনকে বড় একটা সালাম দিয়ে বলল, চেম্বারে আছেন তু, একটা এপেন্ডিক্স নিয়ে আসতাছি। (হাহা, একটা Appendix :D :D )
চেম্বারে নেয়ার পর সার্জন দেখে আল্ট্রাসহ কিছু ব্লাড টেস্ট করাল,
আল্ট্রা নরমাল উল্লেখ করেও কুশলী রেডিওলজিস্ট কমেন্টস এর নিচে লিখে দিল 'USG abdomen normal findings, please correlate clinical sign symptoms with Acute Appendicitis' (সার্জন কে একটু তেল মারা আর খুশি রাখা আর কি, পেট ব্যাথা যাহার আল্ট্রা নরমাল সে কি শুধু এপেন্ডিসাইটিস-ই হতে হবে?)

এনিওয়ে, এবার সব রিপোর্টস এক করে বিজ্ঞ সার্জন চতুর্দিক থেকে এপেন্ডিক্সের ঘ্রাণ পেয়ে পেয়ে নিজেও বললেন ছেলের-মা ছেলের এপেন্ডিক্সের ব্যাথা, অপারেশান করে এপেন্ডিক্স ফেলে দিতে হবে। কথামত ভর্তি হয়ে গেল তারা, অপারেশনের ঘন্টা খানেক আগে ছেলে কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। একি কান্ড, ছেলে কই গেল,কেউ খুজে পাচ্ছে না। হঠাত মাদ্রাসার হুজুরের ফোন, পালিয়ে মাদ্রাসায় ফিরে গেছে ছেলে, তার কোন ব্যথাই ছিল না, হুজুরের মারের ভয়ে পেট ব্যথার বাহানায় মাদ্রাসায় না যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল মাত্র।

যে ছেলে বেতের ভয়ে মাদ্রাসা ছেড়ে ছিল, সে অহেতুক অপারেশনের ভয়ে হাসপাতাল ছেড়ে আবার মাদ্রাসায় পালিয়ে গেছে।


২.

রুগী শুক্রবারে Acute Tonsillitis নিয়ে প্রথমবার ডাক্তার দেখাতে আসল, তাকে জিজ্ঞেস করা হল টাকা পয়সা কেমন আছে সাথে। সে বলল টাকা আছে, সার্জন বলল চলো ওটি তে চলো.....
Tonsillectomy এর ইন্ডিকেশনটা সবাই জানল, শুধু জানল না অসাধু ই.এন.টি সার্জনরা।
Believe me, ill comes ill goes.
And someday you as a doctor will have to pay for your malpractice, not to people BUT to the Almighty.
এসব ম্যলপ্রাক্টিস করব না, করব না, এই হোক আমাদের শপথ, আমরা নতুন প্রজন্ম, এদেশের ডাক্তাদের গতানুগতিক ভুল-প্রাক্টিসকে ধিক্কার দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নির্ভুল প্রাক্টিস করব, এই হউক আমাদের বিজয় দিবসের অংগিকার।

সবাই কে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা...

>> কালেক্টেড পোস্ট <<

Tuesday, December 13, 2016

'অনারারী ট্রেনিং' নামক অমানবিক 'দাস-প্রথা'

এই সভ্য সমাজে এখনো ডাক্তার নামক সমাজের প্রথম শ্রেনীর নাগরিকদের জন্য 'অনারারী ট্রেনিং' নামক অমানবিক 'দাস-প্রথা' চালু আছে এটা ভাবলেই বিস্ময়ে আমার হাত-পা গুলিয়ে আসে|

একজন মানুষ তার সারাটা দিন হাসপাতালে ব্যয় করবেন,সারা মাস অমানবিক পরিশ্রম করবেন,রোগীর লোকজন এবং সিনিয়রদের সকল অপমান-মানসিক অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করবেন কিন্তু মাস শেষে এক টাকাও পারিশ্রমিক পাবেন না,এটাই এই দাস-প্রথাটির মূল নীতি|

অনেকে বলতে চাইবেন, তাঁকে তো 'সাকসেস্ফুল ট্রেনিং ' শেষ করার পর সার্টিফিকেট দেয়া হবে যেটি দিয়ে তিনি পোস্ট-গ্রাজুয়েশনের শর্ত পূরন করবেন অথবা প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করে মাসে 'কোটি -কোটি' টাকা কামাই করবেন|
এই সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি কি করবেন সেটা উনার কষ্টের বাই-প্রোডাক্ট,আপনি তো তাঁকে তাঁর ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত করলেন,কাজটা কি অমানবিক নয়?

ধরুন,আপনি রিক্সায় করে সারা ঢাকা শহর ঘুরে দিন শেষে নেমে গিয়ে ভাড়া না দিয়ে সোজা হাঁটা ধরলেন! পেছন থেকে ডাক দিয়ে বেচারা ভাড়া চাইতেই আপনি বললেন,
...চাচা আপনার তো ডায়াবেটিস আছে,তাই না?
....আছে|
....প্রেশারও আছে,তাই না?
....হুম
...আপনার চিকিৎসা কি জানেন?
...না বাবা|
....প্রচুর কায়িক প্ররিশ্রম করা| আমি আপনাকে এতক্ষন তা-ই করালাম|আপনার রোগের চিকিৎসা করে দিলাম| তা ভাড়া চান কেন?

এটা করা কি ঠিক হবে?এরকম করতে গেলে নিশ্চয়ই বেচারা ডায়াবেটিস,হাইপারটেনশনে মরার আগে না খেয়ে অপুষ্টিজনিত কারনেই পরিবার-পরিজন সহ মারা যাবে|

অনারারী ডাক্তারদের অবস্থা কিন্তু অনেকটা সেরকমই| কবে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করবেন আর কবে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করে তথাকথিত 'কোটি -কোটি' টাকা কামাবেন,তার আগে তো এটলিস্ট উনাকে সপরিবারে বেঁচে-বর্তে থাকতে হবে,নাকি?

>> কালেক্টেড পোস্ট <<

হাল ছেড় না বন্ধু যেতে হবে অনেক দূর

এইলেখাটি একান্তই নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা,লেখাটি টাইপ করতে সাহায্য করেছে এক ছোটবোন কাম ফ্রেন্ড।
বিশেষ করে যে সকল জুনিয়র সিনিয়র বা ব্যাচমেটরা ডাক্তারী জীবনে কঠিন সংগ্রামের পথে হাটছে তাদের প্রতি উৎসর্গ লেখাটি।সময় থাকলে যে কেউ পড়ে দেখতে পারেন,অনুপ্রেরণা পেলেও পেতে পারেন।

একজন নবীন ডাক্তারের সংগ্রামের গল্প

এম,বি,বি,এস এর শেষবর্ষে থাকাকালীন সময়ে দেখতাম অনেকে সিনিয়রা পাশ করার পর বড় ডিগ্রী নিয়ে (এফ,সি,পি,এস / এমডি/এম,এস) মেডিকেলে রেজিস্ট্রার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার হিসাবে জয়েন করছেন । তখন তাদের দেখে আলাদা ইন্সপিরেশন পেতাম এবং স্বপ্ন দেখাতাম বড় বড় ডিগ্রী নেয়ার। যথারীতি সবার মত আমারও স্বপ্ন ছিল যে পাশ করে বের হয়ে ঢাকায় যাব, পিজির লাইব্রেরিতে পড়ব এবং এফ,সি,পি,এস বা এমডি করব। পাশ করে বাসায় চলে আসার পর যখন আব্বুকে বললাম যে আমি আগামী ৬ মাস ঢাকায় দিলিপ স্যার এর কোচিং করতে চাই এবং এই কয়টা মাস আমার খরচ চালিয়ে দাও তাহলে আমি ভাল ভাবে পড়ে তারাতারি চান্স পেতে পারব। স্বপ্ন পূরণের পথে প্রথম বাঁধা পরল এখানে। আব্বু বললেন এম,বি,বি,এস পর্যন্ত তোমাকে চালিয়েছি, এখন আর চালানর সামর্থ নেই। তুমি পাশ করেছ এবং নিজে উপার্জন করার ক্ষমতা হয়েছে তাই নিজে এখন নিজেরে চালাও। এই অবস্থায় ইন্টারনী থেকে জমানো বিশ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় চলে আসলাম। ঢাকায় এসে ডাক্তারদের বস্তি আজিজ সুপার মার্কেটে একটা রুমে একটা সিট নিলাম এবং কোচিং এ ভর্তি হলাম। এখন নিজের খরচ চালানর জন্য খ্যাপ যোগার করার জন্য ৩০ থেকে ৪০ টা সিভি দিলাম ঢাকায় এবং ঢাকার আসেপাশে বিভিন্ন হাসপাতালে, ক্লিনিকে এবং মেডিকেল কলেজে। অনেক দিন হয়ে যায় সিভি থেকে কোন ডাক আসেনা, আবার বড় কোন ভাইয়ের কাছ থেকেও ঢাকার আশেপাশে কোন খ্যাপ যোগার করতে পারছিনা যেখানে ৩/৪ দিন ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করব। এদিকে আবার জমানো টাকাও শেষের পথে। তার ওপর কোচিং, পড়ালেখা, পেট চালানোর চিন্তা সব মিলিয়ে দুর্বিশহ অবস্থা এবং চারিদিকে তখন অন্ধকার দেখতাম শুধুই। তখন শুধু কোচিংইয়ে যেতাম এবং কোচিং থেকে বের হয়েই বড় ভাইদের কাছে ছুটতাম খ্যাপের আশায় যেন সাপ্তাহিক খরচটা যোগাড় হয়। এভাবে ছুটতে ছুটতে মাঝে মাঝে পেয়ে যেতাম বড় ভাই, সিনিয়রদের কাছ থেকে খ্যাপ। খ্যাপে যেতাম নোয়াখালী, নরসিংদী, মাওনা, গাজীপুর সহ আরো অনেক জায়গায়। এতে করে পড়ালেখা থেকে অফ- ট্র্যাক হয়ে গেলাম। কোচিং করতাম ঠিকই কিন্তু রুমে এসে আর পড়ালেখা করার এনার্জি থাকতো না। খ্যাপে যাওয়া বাদও দিতে পারতাম না কারন এখন বাদ দিলে পরে আর ডাকবেনা। এভাবে চলতে চলতে আমার প্রথমবার এফ,সি,পি,এস পরীক্ষার সময় চলে আসলো। সাতহাজার টাকা দিয়ে ফর্ম পূরণ করলাম। পরীক্ষার হলে বসে বুঝতে পারলাম আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি কোনভাবেই যথাযথ না,এমন কি কোথা থেকে প্রশ্ন হল তা ই বুঝলাম না। কোচিংয়ে শুধু ক্লাসই করে গেছি কিন্তু বাসায় পড়তে পারিনি এবং কোচিং এর পরীক্ষাতেও ভাল করতে পারিনি। তখন প্রথম বুঝতে পারলাম এই বড় বড় ডিগ্রী পাওয়া আসলে এত সোজা না, অনেক পড়তে হবে এবং এম,বি,বি,এস পাশ করার পরের লাইফটা খুবই সংগ্রামময় ।

বিভিন্ন জায়গায় সিভি দেয়ার ৬ মাস পর আমি প্রথম ডাক পাই বনানীর প্রেসক্রিপশন পয়েন্টে এবং চাকরিটা হয়ে যায়। এর মাঝে আরও ডাক পাই মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে এনাটমি এর লেকচারার হিসাবে। কিন্তু সপ্তাহে ৬ দিন শাহবাগ থেকে উত্তরা যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না, তারপর বেতন ছিল মাত্র ১৭৭০০ টাকা। এর মধ্যে আরও কিছু প্রাইভেট মেডিকেলে সিভি দিলাম কিন্তু কোথাও থেকে ডাকেনা। উপায় না পেয়ে খ্যাপ মারতে থাকলাম এবং এভাবে মোটামুটি অর্ধেক বাংলাদেশ ঘোরা হয়ে গেছে। এর ফাকে ফাকে পিজির লাইব্রেরীতে পড়া শুরু করলাম। এই অবস্থায় আমি আমার বড় ভাবির কাছে গেলাম যিনি নিজেও ডাক্তার। উনাকে বললাম ভাবি আমাকে কিছু দিন চালিয়ে দেন যেন আমি একটানা পড়ালেখা করতে পারি এবং উনি রাজি হয়ে গেলেন। এতদিন যেহেতু খ্যাপের গণ্ডি বড় হয়ে গেছে এবং দেখা যায় একটানা ১০ দিন ডিউটি করলে প্রায় ২০০০০ হাজার টাকার মত পাওয়া যায় তাই এটার একটা নেশা চলে এসেছিল। যারফলে দেখা যেত পড়ালেখা করতাম অল্প অল্প এবং খ্যাপমারা ও চাকরিও করতে থাকলাম। এভাবে আমি দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসলাম। পরীক্ষা মোটামুটি ভালই হল কিন্তু রেজাল্ট যখন দিল তখন দেখালাম যে আমার ফিজিওলজি পার্টটা একটু খারাপ হয়েছিল এবং ফেল আসল। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা হিসাবে দেখলাম যে আমার অনেক বন্ধুরই চান্স হয়ে গেছে এবং পুরো দুনিয়া তখন বিতৃষ্ণা লাগত। জীবনটা আরও দুর্বিষহ করে দিত আমার গার্লফ্রেন্ড। সে সরাসরি তার হতাশা প্রকাশ করত। বলত যে সবার ডিগ্রী হয়ে যাচ্ছে, তার ফ্রেন্ডদের বয়ফ্রেন্ডদের হয়ে যাচ্ছে ডিগ্রী শুধু আমার কেন হচ্ছে না। জীবনটা তখন অন্ধকার লাগত, কোনদিকেই কোন আশা দেখতাম না। একদিকে চাকরি সংর্ঘষ, বাসা থেকে কথা শোনায় চান্স না পাওয়াতে আবার অন্য দিকে গার্লফ্রেন্ড দাম দেয়না ডিগ্রী না হওয়াতে।

এরপরের বার ঠিক করলাম যে এবার শুধু পড়ালেখাই করব এবং আর কিছুই করবনা। শাহবাগে যেহেতু থাকতাম সেহেতু পিজির লাইব্রেরীতে যাওয়া শুরু করলাম। পিজির লাইব্রেরী সকাল খুলত ৮ টায়, সকাল ৭:৩০ টায় ঝাড়ু দেয়ার জন্য খুলত। আমি দেখা যেত ঐ ধুলার মধ্যেই চোখ মুছতে মুছতে ঢুকে যেতাম যেন ভাল একটা জায়গায় সিট পাই। কথায় আছে অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায়, সেরকমই লাইব্রেরী কার্ডের দাম ৮০০ টাকা থেকে এক লাফে ২৫০০ টাকা করে দিল। ৬ মাসের জন্য শুধু পড়ব লাইব্রেরীতে তার জন্য এত টাকা দেয়াও কষ্টকর লাগল। সারাদিন লাইব্রেরীতে পড়তাম শুধু দুপুরে খাওয়ার সময় বিরতি নিতাম। খ্যাপ যেহেতু কমিয়ে দিয়েছিলাম তাই টাকাও ছিল কম তাই খেতাম পিজির লাইব্রেরীর ওপরে ক্যান্টিনে যেখানে খুব কম টাকায় খাওয়া যেত। ৩০ টাকার মত মিল চার্জ ছিল তখন। পিজির লাইব্রেরীতে পড়া শতকরা ৭০ ভাগ ডাক্তারই ওখানে খেত ওখানকার বিস্বাদ খাবার শুধু মাত্র টাকা বাঁচানোর জন্য। এইরকম একদিন সন্ধ্যায় নাস্তা করে আসার পর দেখলাম কিছু দূরে বসে পড়ছে আমার এক জুনিয়র। তাকে দেখে বললাম কিরে তোর ক্ষুধা লাগে না ? নাস্তা টাস্তা করবি না ? এই প্রশ্নের এমন এক উত্তর পেলাম যা শুনে আমার অনেক খারাপ লাগল। সে বলল, “ভাই,নাস্তার টাকা পাব কই ? আমি তো খ্যাপ দেইনা এবং বাসা থেকেও টাকা দেয়না তাই আমার অনেক হিসাব করে চলতে হয়”। তখন বুঝলাম যে একজন সদ্য পাশ করা নবীন ডাক্তারকে কতটা সংগ্রাম করতে হয় পাশ করার পর। এভাবে ২ মাস পড়ালেখা চলল। সকাল ৭ টায় ঢুকতাম, দুপুরে রেস্ট নেয়ার জন্য একটু বের হতাম আবার রাত ১০ টায় বের হতাম লাইব্রেরী থেকে। এরপর আবার পরীক্ষায় বসলাম। পরীক্ষা শুরু হল এনাটমি দিয়ে, এনাটমি প্রিপারেশন যেহেতু ভাল ছিল তাই পরীক্ষাও অনেক ভাল হল, ভাবলাম এবার ৮০ এর ওপর নাম্বার থাকবে। কিন্তু ফিজিওলজি পরীক্ষা এর দিন প্রশ্ন এত কঠিন হল যে মনে হচ্ছিল হল থেকে সসম্মানে বের হতে পারলে বাঁচি। আর প্যাথলজি ভালই হল। সব মিলিয়ে মনে হল পাশ এবার হবে। এরপর বিকালে যখন আমার নামের পাশে ফেল লিখা দেখলাম তখন এতটাই খারাপ লাগল যে, মনে হল আল্লাহ বলে কেউ নাই, থাকলে আমার কষ্টের প্রতিদান দিল না কেন। তখন আল্লাহর ওপর থেকে বিশ্বাসই উঠে গিয়েছিল, মনে হত এই যে এত অমানবিক কস্ট করলাম আল্লাহ কেন ফল দিলনা। তখন মনে হত বেঁচে থেকে লাভ নেই। না হচ্ছে একটা ডিগ্রী , না হচ্ছে ভাল চাকরি, বন্ধুরা মোটামোটি সবাই চান্স পাচ্ছে, পরিবারে অনেক কথা শুনতে হয় বাবার কাছ থেকে তার ওপর গার্লফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্ক তখন চরম খারাপ। সব মিলিয়ে একেবারে করুণ অবস্থা । এর ভেতর একটাই মাত্র আশার বানী ছিল এই যে বি,সি,এস এর লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বসে ছিলাম তখন। এই অবস্থায় মনে তখন একটাই প্রবল ইচ্ছা ছিল যে যেভাবেই হোক ডিগ্রী আমাকে একটা নিতেই হবে এবং এরই মাঝে আমার বিসিএস হয়ে গেল এবং আমি গ্রামে চলে আসলাম। এরপরের বারের পরীক্ষাটা আর দিলাম না। ভাবলাম যে আপাতত আগে পড়ালেখাটা করে নেই এবং একটু সামর্থবান হয়ে নেই তারপর আবার দিব।

জানুয়ারি ২০১৬ এর এফসিপিএস পরীক্ষাটা দেয়ার কোন ইচ্ছাই ছিলনা তাও কি ভেবে যেন ফর্ম পূরণ করেছিলাম খুবই গোপনে। পড়ালেখা তেমন করিনি, টুকটাক দিলিপ স্যার এর বই ঘেটেছি শুধু। পরীক্ষার আগের দিন রাতেও বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারলাম। বাসায় বললাম যে আমার ট্রেইনিং আছে ৩ দিনের ঢাকায় এবং চলে আসলাম ঢাকায়। কোন আত্মীয়ের বাসায় না উঠে উঠলাম আমার সিনিয়র এক বড় ভাই এর সাথে মহাখালীর এক হোটেলে। ওখানে টানা ৩ দিন পড়ালেখা করে পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষাটা এভারেজ হল এবং একটু আফসোস লাগল যে এবার যে প্রশ্ন হয়েছে তাতে আরও একটু ভাল করে পড়লে হয়ত চান্স হয়ে যেত। পরীক্ষা দিয়ে চলে গিয়েছিলাম আমার বড় আপার বাসায়। বড় আপার বাসা থেকে মহাখালী হোটেলে আসার পথে , ঐদিন বিকালে আমার এক বান্ধবী ফোন করে বলল যে, “দেখতো তোমার পাশ হয়েছে কিনা ? আমার হয়নি” আমি বললাম যে আমার কোনদিনও হয়না এবারও হবে না। এরপর আমার এক রুমমেট ফোন করে বলল যে তার চান্স হয়ে গেসে, তারও অনেক দিন চান্স হচ্ছিলনা। তখন খানিকটা ঈর্ষাবোধ হল যে ঐ বেচারারও হয়ে গেল শুধু আমারই হল না, আমার কি কোনদিনও হবে না ? জানতাম যে পাশ হবে না তাই কোনমতেই রেজাল্ট দেখতে রাজি ছিলাম না, কিন্তু তারপরেও মনকে অনেক বুঝালাম যে বেশি কি আর হবে ফেলই তো হবে, জীবনতো আর থেমে থাকবেনা বা শেষ হয়ে যাবেনা। এভাবে অনেকক্ষণ মনকে বোঝানোর পর মোবাইল এর নেট টা অন করলাম এবং আমার রোলটা ইনপুট করলাম। এরপর রোলের পাশে যখন লিখা দেখলাম পাশ তখন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এবং নিজের অজান্তেই মনে হল যে চোখে ২ ফোটা পানি চলে আসল। বিশ্বাস হলনা তারপরও। সাথে সাথে স্ক্রীনশট নিলাম এবং কমপক্ষে ১৫ বারের মত সাইটে গিয়ে চেক করলাম আসলেও আমি ঠিক দেখছি কিনা। তারপর আমার এক বান্ধবিকে রোলটা দিয়ে বললাম, ‘দেখতো আমি কিছু বুঝতে পারছি না’। সাথে সাথেই সে দেখে বলল যে আমার চান্স হয়েছে এবং খোঁচা দিয়ে বলল যে, “ তোমার তো চান্স হয়ে গেছে ,আমার তো এরপরের বার একাই পরীক্ষা দেয়া লাগবে’। এরপর আমার খানিকটা বিশ্বাস হল যে আমি চান্স পেয়েছি। তখন আমি ভাবলাম এই যে আমি, কিছুদিন আগেও চান্স পাইনি আর এখন চান্স পেলাম। কি পরিবর্তন হল আমার ? হাত একটা বেশি হয়নি , চোখ একটা বেশি হয়নি কিন্তু মানুষ হিসাবে দাম বেড়ে গেছে। এতদিন ডিগ্রী হয়নি দেখে কেউ আমাকে দাম দেয়নি না পরিবারের কেউ, না বন্ধুবান্ধব, এমনকি নিজের গার্লফ্রেন্ডও অনেক দূরে সরে গেছে কারণ তার মনে হয় আমার ক্যারিয়ার ভাল না বিসিএস হওয়া সত্ত্বেও। এরকম অনেকরকমের স্মৃতি মাথায় ভেসে আসল এবং এই ঘোরের মাঝেই মহাখালীর হোটেলে চলে আসলাম। ঐ সিনিয়র ভাই যার সাথে হোটেলে উঠেছিলাম তারও হয়নি তাই অনেকক্ষণ দুঃখ টুঃখ করার পর আস্তে করে তাকে বললাম যে আমার চান্স হয়ে গেছে। যেহেতু আমরা একই হেলথ কমপ্লেক্সের তাই উনি জানত যে আমি বেশি পড়ালেখা করিনি তাই উনি মহাআশ্চর্য যে কিভাবে চান্স পেলাম এবং অনেক কংগ্র্যাচুলেট করলো। এরপর আমি আমার বাকি ২ জন রুমমেট মেডিকেলের যাদের চান্স হয়নি তাদের জানালাম তারাও প্রথমে আশ্চর্য হল এবং পরে অনেক খুশি হল। তখন তাকে বললাম যে এবারের রেজাল্ট আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, কারণ যেবার আমি সব থেকে বেশি কষ্ট করে পড়েছিলাম সেবার হয়নি কিন্তু এবার প্রিপারেশন ভাল ছিলনা কিন্তু হয়ে গেল। এরপর আমার ঐ বন্ধু বিসিপিএস ভবনে টাঙ্গানো রেজাল্ট শীট এর ছবি তুলে যখন পাঠাল তখন আমার বিশ্বাস হল যে আমি আসলেও চান্স পেয়েছি। এরপর গার্লফ্রেন্ডকে জানালাম, সে হল দায়সারা খুশি, এরপর জানালাম বাবা মাকে। বাবা তো আলহামদুলিল্লাহ বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলার মত অবস্থা। এরপর আস্তে আস্তে অন্যান্যদেরও জানালাম। তখন নিজেকে অন্য রকম একটা মানুষ মনে হল। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম কারণ উনি আমার কষ্টটা দেখছেন।

পোস্ট গ্রাজুয়েশনে একটা কথা ঠিক যে প্রিপারেশন আপ-টু-দা মার্ক না হলে চান্স হবে না। আর প্রিপারেশন ভাল হলে চান্স যে কোনবার হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ ভালতে পারেনা। লাক কখন কাকে ফেভার করবে বলা যায়না কিন্তু প্রেপারেশন থাকতে হবে ভালমতো। এই জন্য ২/৩ বার পরীক্ষায় ফেল করলেও হতাশ হওয়ার কিছু নাই। অনেক কঠিন সময় পার করে এসেছি এবং আমার থেকেও আরও কঠিন সময় মানুষ পার করে। এই ডিগ্রীর জন্য আমার পার্সোনাল লাইফ অনেক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমার যে জুনিয়র যার পিজির লাইব্রেরীতে খাওয়ার টাকা ছিলনা তার কার্ডিওলজিতে এফসিপিস , এমডি হয়ে গেছে ঢাকাতে।

আমার মতো প্রতিটা সদ্য পাস করা ডাক্তারকে অনেক কস্ট করতে হয় একটা চাকরি জোটাতে, খাবারের টাকা জোটাতে। এইরকম অনেক বাঁধা পার হয়ে আমি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসাবে নিয়োগ পেলাম, আস্তে আস্তে হয়তো আমি মেডিকেল এর টিচার হতে পারব অথবা বড় পোস্টে যেতে পারব। তাই এখন মনে হয় যে আল্লাহর কাছে যাই চাই তার প্রতিদান আল্লাহ কোন না কোন বার দিবে।

আমার মত প্রতিটা ডাক্তারেরই এইরকম স্ট্রাগল করতে হয়, কিন্তু কথা হল একটাই যে হাল ছাড়া যাবেনা, হতাশ হওয়া যাবেনা ঠিক মত প্রিপারেশন নিতে হবে এবং লাইনে থাকতে হবে। অনেক ব্যক্তিগত সমস্যা, পারিবারিক, মানসিক এবং পারিপার্শিক সমস্যা থাকার পরও হতাশ হওয়া যাবেনা । ঠিকমত চেস্টা করে গেলে সফল হওয়া সম্ভব। তাই তো বলি হাল ছেড় না বন্ধু যেতে হবে অনেক দূর।

>> কালেক্টেড পোস্ট <<

Saturday, December 3, 2016

অবৈতনিক চিকিৎসক – একটি বর্বর শোষণ প্রক্রিয়ার নাম।

হেডলাইন দেখে অনেকেই অনেক বুঝেছেন আবার অনেকেই কিছু বোঝেন নাই।
 বিশেষত যারা নাকি চিকিৎসক তারা ধরতে পেরেছেন। আর অন্যরা হয়তো ভাবছেন “অবৈতনিক চিকিৎসক”? এইটা আবার কি? আগে তো শুনি নাই!!! আসুন একটু শুনি, একটু দেখি আর একটু জানি।

 অবৈতনিক চিকিৎসক কাকে বলে? নামের মাঝেই কাজের পরিচয় পাওয়া যায়।
 অর্থাৎ এরা হচ্ছে সেই সব চিকিৎসক যারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন কিন্তু তার বিনিময়ে একটি পয়সাও পান না। বরং নিজের টাকা দিয়ে যাতায়াত আর হাসপাতালে খাওয়ার খরচ চালাতে হয়।
 মজা লন নাকি ভাই, রূপকথার গল্প শোনান? জ্বি হ্যাঁ, রূপকথার গল্প শোনাই। দেশের নাম বাংলাদেশ।
 তবে ঘটনা সত্য। এখন সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন মেডিকেলে প্রায় পাঁচ হাজার এমন বিনা বেতনের চিকিৎসক আছেন। সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে। তবে কম নয়।

 ডাক্তাররা করে ক্যান? মাথায় কি ছিট আছে নি? জ্বি না। মাথায় ছিট নাই। করার অন্যতম একটা কারন হচ্ছে-- এফসিপিএস পরীক্ষা এবং এমডি,এম এস,এম ফিল (মেডিকেলের বিভিন্ন পোশটগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রির নাম এ গুলো) এই সব পরীক্ষার ফাইনালে অংশগ্রহন করার জন্য যোগ্যতা হিসেবে প্রশিক্ষনের জন্য তাদের বিনা বেতনে কাজ করতে হয়।


 ঠিকই তো আছে, ডিগ্রির জন্য বিনা বেতনে কাজ করে— না ভাই, ঠিক নাই। কারন পৃথিবীর আর কোন দেশে বিনা বেতনে প্রশিক্ষনের সিস্টেম নাই। (তথ্যটা যাচাই করতে পারেন) কিন্তু তাদের দেশেও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি আছে এবং তার মান ও ভাল।

  ডাক্তাররা তো কাজ শিখে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী করছেন— জ্বি করছেন। এবং পৃথিবীর সব দেশের চিকিৎসকরাই কাজ করেই অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী করেন। কিন্তু বিনা বেতনে কোথাও নয়।

ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা বাড়ানোই এ সিস্টেমের লক্ষ্য— জ্বি না, ডাক্তার অভিজ্ঞতার উপর “মূত্র বিসর্জন” করার সময় কার ও নাই। সরকারি হাসপাতাল চালাতে হবে। কিন্তু চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে না। অতএব পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের কালা নিয়মে ফেলে চিকিৎসকদের বাধ্য করা।

 আচ্ছা এরা কি সিম্পলি “ প্রশিক্ষনার্থী” চিকিৎসক? অনেকেই ধারনা করতে পারেন, এই সব ডাক্তাররা কিছু পারে না। এদের শিখিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভুল, সবই ভুল। এরা যদি কিছুই না পারতো তাহলে শুধু এদের উপর নির্ভর করে প্রফেসররা রাতে বাসায় গিয়ে ঘুমাতে পারতেন না। হাজার হাজার রোগী মারা যেত। এরাই রোগীকে জরুরি চিকিৎসা দেন। প্রাথমিক ঝুকিমুক্ত করেন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এরা জরূরী অপারেশন ও করেন। কাজেই সরকার মূলত শেখানোর নামে চিকিৎসকের দক্ষতাকে ব্যাবহার করছে বিনা পারিশ্রমিকে।

 আচ্ছা অন্য প্রফেশনের দিকে একটু তাকাই— বাংলাদেশে অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে। সেখানেও বিভিন্ন বিষয় এর উপর ছাত্র ছাত্রীরা গ্র্যাজুয়েট হয়ে বের হয়। 
তাদের জন্য কি এমন কোন সিস্টেম আছে? যেখানে তাদের বিনা বেতনে কাজ করতে হয়? না, উত্তর টা হচ্ছে না। তাহলে চিকিৎসকরা কি অমানবিক বৈষম্যের শিকার নন?

 এভাবে কি ভাল চিকিৎসক তৈরি হওয়া সম্ভব? ভাল চিকিৎসক তৈরি হবার অন্যতম প্রধান পূর্বশর্ত হল ভালভাবে পড়াশোনা করা। একটা দিনকে আমরা তিন ভাগে বা রোস্টারে ভাগ করি- সকাল,বিকাল ও রাত। তাহলে সপ্তাহে রোস্টার মোট একুশ টা। এখন বিনা বেতনের ডিউটিতে মোটামুটি ছয়টা রোস্টার করতে হয়। বাকি থাকল ১৫ টা। যেহেতু এই বিনা বেতনের চিকিৎসক “সুপারম্যান” নন। তাকেও খেতে হয়, পরতে হয় এবং সংসার চালাতে হয়। অতএব অর্থ উপার্জনের জন্য তাকে বাইরে ডিউটি করতে হয়। বর্তমানে ঢাকা শহরে প্রতি রোষ্টার কম বেশি ছয়শ টাকা। সপ্তাহে ছয়টা রোস্টার করলে তিনি মাসে পনের হাজার টাকার কাছাকাছি উপার্জন করতে পারবেন। তাহলে তার আর রোস্টার বাকি থাকে ৯ টা।

 এখন প্রশ্ন নাম্বার এক – এই চিকিৎসক সপ্তাহে সাত টা রাত ঘুমার জন্য সময় পাবেন কি? প্রশ্ন নাম্বার দুই- তাহলে এই চিকিৎসক পড়াশোনা করবেন কখন? প্রশ্ন নাম্বার তিন- এই চিকিৎসক তার পরিবারকে সময় দেবেন কখন? আর পনের হাজার টাকায় ঢাকা শহরে পরিবার সহ তার বাজেট ও আশা করি তৈরি করে দেবেন। যেখানে আপনাকে প্রতি ছয়মাসে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন পরীক্ষা দেবার জন্য প্রায় ১২ হাজার টাকা যোগ করতে হবে। মেডিকেলের দামি বই কেনার টাকা হিসাব করতে হবে। বিনা বেতনের ডিউটিতে যাবার এবং খাবার খরচ হিসাব করতে হবে।

 সবশেষে বলি- অবাক করার বিষয় এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। পত্রিকার পাতায় এ বোবা কান্নার খবর আসে না। পাস না করানোর হুমকিতে চিকিৎসকরাও বলতে দ্বিধাবোধ করেন। আমাদের মত এই সব অসহায় বোবাদের মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা একরাশ কষ্টের গল্প টিভির টক শো কিংবা পত্রিকার পাতা অথবা আলোচনা অনুষ্ঠানে উঠে আসে না। কারন এতে হয়তো কাটতি তেমন হয় না। এর চেয়ে খবর হিসেবে “চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু” অনেক বেশী আকর্ষনীয় আমাদের কষ্ট বোঝার কেউ কি আছেন বাংলাদেশে?

 এই নির্মম দাস প্রথার অবসান চাই। শেয়ার করতে বলা আমার অভ্যাস নয়। চিকিৎসক ও যারা সমব্যাথী হবেন তাদের শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি। চিকিৎসকদের জীবনের এই অংশটা মানুষ জানে না। জানানো দরকার।

>> কালেক্টেড পোস্ট <<

Friday, December 2, 2016

জীবনই শুরু থার্ড জেনারেশন দিয়ে.

পেরিফেরিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে সব বাচ্চা আমরা পাই তারা নামী বেনামি কোম্পানির থার্ড জেনারেশন খেয়ে আসে! সেফিক্সিম (থার্ড জেনারেশন সেফালোস্পোরিন) তিন দিন খেয়ে আপনার কাছে আসল। আপনি কি করবেন?


কন্টিনিউ করবেন নাকি সুইচ করবেন, 
নাকি কোম্পানি চেইঞ্জ করবেন, 
নাকি ইঞ্জেক্টেবলে যাবেন, 
নাকি ফার্স্ট জেনারেশনে ফিরে যাবেন?

আমাদের বেশিরভাগ ভাল ছাত্রের জীবনের লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া আর বেশিরভাগ ডাক্তারদের জীবনের লক্ষ্য বিজি প্র‍্যাকটিশনার হওয়া। দিনে ৫০-৬০ টা পেশেন্ট না দেখলে স্ট্যাটাস থাকেনা। পেশেন্টতো শুধু দেখলেই হবে না রোগও সারাতে হবে। রোগ সারাতে গিয়েই বিভিন্ন অষুধের অপপ্রয়োগ করা হয়। সব থেকে ডেঞ্জার জোনে আছে পেডিয়াট্রিক পেশেন্ট।

কিছু প্রশ্ন

তিন মাসের নিচে সালবিউটামল দিয়ে কোন লাভ হয়?
হুইজ না থাকলে কি প্রেডনিসোলন দেওয়ার দরকার আছে? অথবা ছয়মাসের আগেই কি এটা দেওয়া যায়?
সিপ্রোফ্লক্সাসিন কি বাচ্চাদের কোন ক্ষতি করে। রিস্কের চেয়ে বেনিফিট বেশি না হলে কি এটার ব্যবহার যুক্তিসংগত?

বেশি প্রশ্ন করে লাভ নেই। যে কোন পেডিয়াট্রিক্স আউটডোরে এক ঘন্টার প্রেস্ক্রিপশন ফলো করলেই দেখা যাবে বেশিরভাগ ড্রাগই পেশেন্টের বয়সে নির্দেশিত নয়। প্রাইভেট চেম্বারে এটা আরো বেশি হয়।

তাহলে ডাক্তাররা কেন লিখছেন। ঐযে বলেছিলাম "অমুক ডাক্তারের চিকিৎসায় রোগ ভাল হয়। উনি চেম্বারে দিনে ৫০ টার কম রোগী দেখেন না" এই সুনাম অর্জনের জন্য।

আমার পরিচিত পেডিয়াট্রিক্সের একজন প্রফেসর ছিলেন যার চেম্বারে খুব একটা রোগী আসতো না। কারণ তিনি রেশনাল প্র‍্যাক্টিস করতেন, কাউন্সেলিং বেশি করতেন, অষুধ কম লিখতেন অথবা লিখতেনই না। বাচ্চার সুস্থ হতে সময় লাগতো। তাই বাবা মারা আস্থা পেতেন না।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয় হয়। ওরা জীবনই শুরু করছে থার্ড জেনারেশন দিয়ে। এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্ট হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সিম্পল জ্বর ঠান্ডা কাশিই মহামারি হয়ে দেখা যাবে একসময়!