Razibul Bari Palash ক) কয়েকদিন আগে প্ল্যাটফর্মে একজন পোস্ট করেছিলো কন্সাল্টেশন সেন্টারের ব্যাপারে। তার আপডেট আর জানিনা। খ) আত্নহত্যা আমার মনে হয় আরও বাড়বে - কেননা আত্নহত্যার নিত্য নতুন কারণ তৈরি হচ্ছে। গ) নেগাটিভ কথা না বলে আমার কিছু আইডিয়া শেয়ার করছি প্রতিকারের ব্যাপারে - ১) স্বল্প খরচে বুকলেট বানানো যেতে পারে - ফার্স্ট ইয়ারের নতুন ভর্তির সময় দেয়া যেতে পারে - ভর্তির ডেস্কে থাকবে - ভর্তি ফরমের সাথে বিলি করা হবে। বুকলেটে মেডিকেল শিক্ষার কঠোরতা আর কী কী কারণে হতাশা আসতে পারে সেগুলো লেখা যেতে পারে। অভিভাবকদের জন্যও নির্দেশিকা থাকবে - মেডিকেলে ফেল করা যে একটা সাধারণ ব্যাপার সেটা ৯০% অভিভাবক বিশ্বাস করেনা। ভর্তির দিন প্রত্যেক ছাত্রের ইমেইল এড্রেস রাখতে হবে যেটা পরে কাজে লাগবে নানাভাবে। ২) ছবি আঁকতে পারে এমন কাউকে দিয়ে কিছু প্রেরণা মূলক পোস্টার বানাতে হবে - ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়ালে টানানো থাকবে। ৩) কিছু উৎসাহ ব্যঞ্জক বানি লিখে টানানো যেতে পারে। ৪) সকল মেডিকেলে মেডিসিন ক্লাব/সন্ধানী/রেডক্রিসেন্টের শাখাগুলোর কাজের সাথে কন্সাল্টেশন ডিপার্ট্মমেন্ট এড করতে হবে। এখানে কিছু সিনিয়র ভাইবোন অথবা চিকিৎসক থাকতে পারেন। যারা গোপনীয়তা রাখতে চায় তাদের জন্য অফক্যাম্পাস কন্সাল্টেশনের ব্যাবস্থা করতে হবে। ৫)প্রতি ব্যাচে ছেলে ও মেয়ে আলাদা ২ জন অব্জার্ভার থাকবে যারা কিছু সন্দেহ করলে অবগত করবে। ৬) অনলাইন জগতে ভেসে যাবার আগে বাস্তব দুনিয়ায় বন্ধু বানাতে হবে - সেব্যাপারে ছাত্র সংসদ বেশী বেশী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। সবাইকেই কোন না কোন পার্টে অংশ নিতে হবে। বন্ধুত্বের চেয়ে শক্তিশালী জিনিস কিছু নেই ছাত্রজীবনে। সামাজিকতা বাড়ানোর জন্য কালচারাল প্রোগ্রামের বিকল্প নেই। যে কারণে আগের দিনের মানুষরা অভাবে থাকলেও সুখী ছিল। ৭) আরেকটি বিষয় আমি খেয়াল করেছি সাধারণ লোকদের সাথে না মিশতে মিশতে ছাত্র অবস্থা থেকেই অনেকে রোগী বিদ্বেষী - মানে নন-ডাক্তার কেউ ডাক্তারি মন্তব্য করলেই খেপে ওঠেন - এইসব সমস্যা হয়। ডাক্তাররা মনে করেন তারা সমাজের বাইরের প্রাণী। এই সমস্যা দূর করার জন্য ব্লাড ডোনেশন ক্লাবগুলো যেমন বিভিন্ন ননমেডিকেল কলেজে/বিশ্ববিদ্যালয়ে যেয়ে ব্লাড কালেকশন করে তেমনি তাদের সাথে মাসে ১ দিন বন্ধুসভার আয়োজনও করা যেতে পারে। এতে করে এই নন মেডিকেল ছাত্ররা আমাদের সম্পর্কে ধারণা পাবে আর আমাদের অহংকারও কমবে। কারো কারো আচরণও ঠিক হবে। ভবিষ্যতে ওইসব ছেলেরা প্রশাসনে গেলেও ডাক্তারদের অবস্থা বুঝতে পারবে। ৮) শিক্ষকদের আচরণ তো আমরা ঠিক করে দিতে পারবোনা - তবে তাদের সাথে ৩ মাস পর পর মিটিং করা যেতে পারে এই ব্যাপারে। ৯) TEDx এর মত কিছু টক-শো'র আয়োজন করা যেতে পারে। চিকিৎসা পেশার এখন অনেক শাখা আছে - এমন অনেক কাজ আছে যেখানে রোগী দেখাই একমাত্র কাজ না - গবেষণা তো অনেক বাড়ছে - তাই এই পেশার নানান রাস্তা সম্পর্কে ফার্স্ট ইয়ারেই জানানো দরকার। ১০) নানা ধরনের ফ্যামিলি থেকে এসে এখানে সবাই জড়ো হয়। অনেকেই নিজেকে সাইকোলজিক্যালই ইনফিরিয়র ভাবে। আবার পাশ করার পরে তো অবস্থা আরও করুণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফলদের সংখ্যাই বেশী। সেই সফলদের কষ্টের ইতিহাস শেয়ার করার ব্যাবস্থা করে উৎসাহিত করা যেতে পারে 'Humans of New York' পেইজের মত। এতক্ষণ যেগুলো লিখলাম এগুলো চাইলে আমরাই পারি। এর জন্য কোন চাঁদা, মিটিং, মিছিল বা সরকারী বিল পাশ করানো লাগবেনা। কিন্তু এর পর আরও অনেক বড় বড় কথা লেখা যেতে পারে যেগুলো আরও উর্ধতন পর্যায়ের ব্যাপার। সেগুলো পর্যায়ক্রমে এই তালিকায় যুক্ত করা যেতে পারে।
Razibul Bari Palash ক) কয়েকদিন আগে প্ল্যাটফর্মে একজন পোস্ট করেছিলো কন্সাল্টেশন সেন্টারের ব্যাপারে। তার আপডেট আর জানিনা। খ) আত্নহত্যা আমার মনে হয় আরও বাড়বে - কেননা আত্নহত্যার নিত্য নতুন কারণ তৈরি হচ্ছে। গ) নেগাটিভ কথা না বলে আমার কিছু আইডিয়া শেয়ার করছি প্রতিকারের ব্যাপারে - ১) স্বল্প খরচে বুকলেট বানানো যেতে পারে - ফার্স্ট ইয়ারের নতুন ভর্তির সময় দেয়া যেতে পারে - ভর্তির ডেস্কে থাকবে - ভর্তি ফরমের সাথে বিলি করা হবে। বুকলেটে মেডিকেল শিক্ষার কঠোরতা আর কী কী কারণে হতাশা আসতে পারে সেগুলো লেখা যেতে পারে। অভিভাবকদের জন্যও নির্দেশিকা থাকবে - মেডিকেলে ফেল করা যে একটা সাধারণ ব্যাপার সেটা ৯০% অভিভাবক বিশ্বাস করেনা। ভর্তির দিন প্রত্যেক ছাত্রের ইমেইল এড্রেস রাখতে হবে যেটা পরে কাজে লাগবে নানাভাবে। ২) ছবি আঁকতে পারে এমন কাউকে দিয়ে কিছু প্রেরণা মূলক পোস্টার বানাতে হবে - ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়ালে টানানো থাকবে। ৩) কিছু উৎসাহ ব্যঞ্জক বানি লিখে টানানো যেতে পারে। ৪) সকল মেডিকেলে মেডিসিন ক্লাব/সন্ধানী/রেডক্রিসেন্টের শাখাগুলোর কাজের সাথে কন্সাল্টেশন ডিপার্ট্মমেন্ট এড করতে হবে। এখানে কিছু সিনিয়র ভাইবোন অথবা চিকিৎসক থাকতে পারেন। যারা গোপনীয়তা রাখতে চায় তাদের জন্য অফক্যাম্পাস কন্সাল্টেশনের ব্যাবস্থা করতে হবে। ৫)প্রতি ব্যাচে ছেলে ও মেয়ে আলাদা ২ জন অব্জার্ভার থাকবে যারা কিছু সন্দেহ করলে অবগত করবে। ৬) অনলাইন জগতে ভেসে যাবার আগে বাস্তব দুনিয়ায় বন্ধু বানাতে হবে - সেব্যাপারে ছাত্র সংসদ বেশী বেশী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। সবাইকেই কোন না কোন পার্টে অংশ নিতে হবে। বন্ধুত্বের চেয়ে শক্তিশালী জিনিস কিছু নেই ছাত্রজীবনে। সামাজিকতা বাড়ানোর জন্য কালচারাল প্রোগ্রামের বিকল্প নেই। যে কারণে আগের দিনের মানুষরা অভাবে থাকলেও সুখী ছিল। ৭) আরেকটি বিষয় আমি খেয়াল করেছি সাধারণ লোকদের সাথে না মিশতে মিশতে ছাত্র অবস্থা থেকেই অনেকে রোগী বিদ্বেষী - মানে নন-ডাক্তার কেউ ডাক্তারি মন্তব্য করলেই খেপে ওঠেন - এইসব সমস্যা হয়। ডাক্তাররা মনে করেন তারা সমাজের বাইরের প্রাণী। এই সমস্যা দূর করার জন্য ব্লাড ডোনেশন ক্লাবগুলো যেমন বিভিন্ন ননমেডিকেল কলেজে/বিশ্ববিদ্যালয়ে যেয়ে ব্লাড কালেকশন করে তেমনি তাদের সাথে মাসে ১ দিন বন্ধুসভার আয়োজনও করা যেতে পারে। এতে করে এই নন মেডিকেল ছাত্ররা আমাদের সম্পর্কে ধারণা পাবে আর আমাদের অহংকারও কমবে। কারো কারো আচরণও ঠিক হবে। ভবিষ্যতে ওইসব ছেলেরা প্রশাসনে গেলেও ডাক্তারদের অবস্থা বুঝতে পারবে। ৮) শিক্ষকদের আচরণ তো আমরা ঠিক করে দিতে পারবোনা - তবে তাদের সাথে ৩ মাস পর পর মিটিং করা যেতে পারে এই ব্যাপারে। ৯) TEDx এর মত কিছু টক-শো'র আয়োজন করা যেতে পারে। চিকিৎসা পেশার এখন অনেক শাখা আছে - এমন অনেক কাজ আছে যেখানে রোগী দেখাই একমাত্র কাজ না - গবেষণা তো অনেক বাড়ছে - তাই এই পেশার নানান রাস্তা সম্পর্কে ফার্স্ট ইয়ারেই জানানো দরকার। ১০) নানা ধরনের ফ্যামিলি থেকে এসে এখানে সবাই জড়ো হয়। অনেকেই নিজেকে সাইকোলজিক্যালই ইনফিরিয়র ভাবে। আবার পাশ করার পরে তো অবস্থা আরও করুণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফলদের সংখ্যাই বেশী। সেই সফলদের কষ্টের ইতিহাস শেয়ার করার ব্যাবস্থা করে উৎসাহিত করা যেতে পারে 'Humans of New York' পেইজের মত। এতক্ষণ যেগুলো লিখলাম এগুলো চাইলে আমরাই পারি। এর জন্য কোন চাঁদা, মিটিং, মিছিল বা সরকারী বিল পাশ করানো লাগবেনা। কিন্তু এর পর আরও অনেক বড় বড় কথা লেখা যেতে পারে যেগুলো আরও উর্ধতন পর্যায়ের ব্যাপার। সেগুলো পর্যায়ক্রমে এই তালিকায় যুক্ত করা যেতে পারে।
ReplyDelete