বেসরকারী মেডিকেল কলেজ এর মাঝে বেশ কিছু আছে যে গুলো খুবই ভাল। এবং কোন
কোন ক্ষেত্রে নতুন সরকারী মেডিকেল কলেজগুলো থেকেও উন্নত। কিন্তু অনেক
বেসরকারী মেডিকেল কলেজই আছে যাদের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। এইসব
মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে একজন ভাল চিকিতসক হওয়া কঠিন।
.
.
আমার ব্যাক্তিগত মতামত থেকে কয়েকটি সতকর্তা মেনে চলা উচিত বলে মনে করি। যাতে করে পরবর্তীতে কোন সমস্যার মুখোমুখি ছাত্র ছাত্রীরা বা অভিভাবকরা না হন।
.
.
প্রথমত দেখে নিন, মেডিকেল কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদিত কিনা। যেমন ঢাকার মেডিকেল কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। রাজশাহীর মেডিকেল কলেজগুলো,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
.
.
.
এরপরই দেখুন, তাদের একটি চালু হাসপাতাল আছে কিনা। আপনার চকচকে হাসপাতাল দরকার নাই।
যেই হাসপাতালে রোগী হয় ভাল সেটা আপনার দরকার। আর ভাল কথা, হাসপাতালে গরীব রোগীদের জন্য ফ্রি বেড, ফ্রি অপারেশন এর ব্যাবস্থা আছে কিনা- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
কারন ডাক্তারিবিদ্যা একটি প্র্যাক্টিক্যাল বিষয়। আবার মনে রাইখেন পাচ দশটা ফ্রি বেড দিয়ে কিছু হবে না। কম করে হলেও পঞ্চাশটি ফ্রি বেড লাগবে। এছাড়া স্বল্প ভাড়ার যথেষ্ট বেড থাকতে হবে। উদাহরনস্বরূপ বলি, ঢাকার একটি বেসরকারী মেডিকেলে ফ্রি বেড মাত্র ত্রিশটা। স্বল্পমূল্যের বেড নাই। তাহলে এই মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ডাক্তাররা কি শিখবে?
.
.
পর্যাপ্ত শিক্ষক আছেন কিনা দেখুন। বিশেষত রেজিষ্ট্রার, সিএ যারা সরাসরি ছাত্রদের শেখান তাদের যোগ্যতা কি দেখুন। সেটা বিএমডিসির নিয়ম কানুন মানে কিনা জানুন।
.
.
ভর্তির সময়ই সব খরচ সম্পর্কে জেনে নিন। কোন লুকানো খরচ আছে কিনা প্রশ্ন করুন। প্রতি বছর বেতন বাড়ায় কিনা, প্রফেশনাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয় কিনা।
.
.
.
জানুন, উক্ত মেডিকেল কলেজ থেকে কয়টি ব্যাচ পাস করেছে। এটা মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে ভাল ধারনা দেবে। অনেক ভাল মেডিকেল কলেজ থেকে পনেরটির উপরে ব্যাচ পাস করে বের হয়েছে।
.
.
যেসব মেডিকেল কলেজ কয়েকদিন পরপর শিক্ষক চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের বিষয়ে সাবধান।
.
.
.
মনোরম ক্যাম্পাসের ছবি দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। হাসপাতালের রোগী সংখ্যা দেখেন।
.
.
নতুন প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজ থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ। অবকাঠামো খুব ভাল হলে ভিন্ন কথা।
.
.
আর ভুলেও ভর্তি বিজ্ঞপ্তির নিয়মের বাইরে যাবেন না। পরে পস্তাবেন নিশ্চিত।
আর ও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন। উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।
শেয়ার করুন। কেউ না কেউ উপকৃত হবে।
লেখক তানভির আহমেদ
.
আমার ব্যাক্তিগত মতামত থেকে কয়েকটি সতকর্তা মেনে চলা উচিত বলে মনে করি। যাতে করে পরবর্তীতে কোন সমস্যার মুখোমুখি ছাত্র ছাত্রীরা বা অভিভাবকরা না হন।
.
.
প্রথমত দেখে নিন, মেডিকেল কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদিত কিনা। যেমন ঢাকার মেডিকেল কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। রাজশাহীর মেডিকেল কলেজগুলো,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
.
.
.
এরপরই দেখুন, তাদের একটি চালু হাসপাতাল আছে কিনা। আপনার চকচকে হাসপাতাল দরকার নাই।
যেই হাসপাতালে রোগী হয় ভাল সেটা আপনার দরকার। আর ভাল কথা, হাসপাতালে গরীব রোগীদের জন্য ফ্রি বেড, ফ্রি অপারেশন এর ব্যাবস্থা আছে কিনা- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
কারন ডাক্তারিবিদ্যা একটি প্র্যাক্টিক্যাল বিষয়। আবার মনে রাইখেন পাচ দশটা ফ্রি বেড দিয়ে কিছু হবে না। কম করে হলেও পঞ্চাশটি ফ্রি বেড লাগবে। এছাড়া স্বল্প ভাড়ার যথেষ্ট বেড থাকতে হবে। উদাহরনস্বরূপ বলি, ঢাকার একটি বেসরকারী মেডিকেলে ফ্রি বেড মাত্র ত্রিশটা। স্বল্পমূল্যের বেড নাই। তাহলে এই মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ডাক্তাররা কি শিখবে?
.
.
পর্যাপ্ত শিক্ষক আছেন কিনা দেখুন। বিশেষত রেজিষ্ট্রার, সিএ যারা সরাসরি ছাত্রদের শেখান তাদের যোগ্যতা কি দেখুন। সেটা বিএমডিসির নিয়ম কানুন মানে কিনা জানুন।
.
.
ভর্তির সময়ই সব খরচ সম্পর্কে জেনে নিন। কোন লুকানো খরচ আছে কিনা প্রশ্ন করুন। প্রতি বছর বেতন বাড়ায় কিনা, প্রফেশনাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয় কিনা।
.
.
.
জানুন, উক্ত মেডিকেল কলেজ থেকে কয়টি ব্যাচ পাস করেছে। এটা মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে ভাল ধারনা দেবে। অনেক ভাল মেডিকেল কলেজ থেকে পনেরটির উপরে ব্যাচ পাস করে বের হয়েছে।
.
.
যেসব মেডিকেল কলেজ কয়েকদিন পরপর শিক্ষক চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের বিষয়ে সাবধান।
.
.
.
মনোরম ক্যাম্পাসের ছবি দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। হাসপাতালের রোগী সংখ্যা দেখেন।
.
.
নতুন প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজ থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ। অবকাঠামো খুব ভাল হলে ভিন্ন কথা।
.
.
আর ভুলেও ভর্তি বিজ্ঞপ্তির নিয়মের বাইরে যাবেন না। পরে পস্তাবেন নিশ্চিত।
আর ও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন। উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।
শেয়ার করুন। কেউ না কেউ উপকৃত হবে।
লেখক তানভির আহমেদ
No comments:
Post a Comment