বাংলাদেশে একজন ডাক্তারের প্রতিষ্ঠিত হতে ৪০ বছর বয়স হয়ে যায় বা সিম্পল
এমবিবিএস এর দাম নাই। এই কথা গুলো কমিউনিটির মধ্যে একটি প্রচলিত
ব্যাপার বা ধারণা। বাংলাদেশের অধিকাংশ বাবা মা চায় তাদের সন্তান ডাক্তার বা
ইঞ্জিনিয়ার হোক।
কারণ হিসেবে ধরে নেয়া হয় যে, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হলে কর্ম করে বা রোজগার করে চলতে পারবে তার সন্তান। কেউই তার সন্তানকে মানবতার সেবার জন্য ডাক্তার করার মানসিকতা পোষণ করে না। মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন সন্তান যখন ডাক্তারী পড়াশোনা করে তখন তার পরিবার এই আশা পোষণ করে যে, তার সন্তান ডাক্তার হয়ে গেলে পরিবারের দায়িত্ব নেবে বা সহযোগিতা করবে।
কিন্তু পাশ করার পর মাসিক পনের হাজার টাকা ইন্টার্ন ডিউটি করে পরবর্তীতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন নামক মরিচিকা আর ক্যারিয়ার বিল্ড করার জন্যে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। মাঝে মাঝে বিসিএস নামক ভিন্ন মরিচিকার পিছনে ছোটা। এভাবে করেই একজন ডাক্তার তার জীবনের ১০ থেকে ১২ বছর (খুব ভাগ্যবান হলে) খরচ করে ফেলে। এই সময়টাতে একজন ডাক্তার এবং তার পরিবার কি পরিমাণ কষ্টের মাঝে থাকে তা ভুক্তভোগি এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ বোঝে না। এখানে আমার প্রশ্ন আসছে, এত কিছু করে কি লাভ?
একজন ছাত্রের সবকিছু ঠিকভাবে চললে ইন্টার্ন শেষ করতে করতে বয়স ২৫ বা ২৬ হয়ে যায়। এরপর একজন ডাক্তারের জীবনে সবচেয়ে বিভীষিকাময় সময়ের শুরু হয়। এত এত মত আর এত পথ!
অবধারিতভাবেই সব পথই অত্যন্ত সংকীর্ণ। গুটি কয়েকজনই সে রাস্তা দিয়ে যেতে পারে। তখন বিসিএস নাকি পোস্ট গ্রাজুয়েশন? পরিবারের সাপোর্ট নাকি বিয়ে? চেম্বার নাকি পিজিটি বা অনারারি? খ্যাপ নাকি চাকরি? কি করা উচিত বা তার জন্য কোনটা বেস্ট অপশন তা বুঝে ওঠা সম্ভব নয়।
এই ঘুর্ণিঝড়ে পরে একজন ডাক্তারের আর কিছু না হোক কনফিডেন্স শহীদ হয়ে যায়। লাইব্রেরীতে মাথা গুজে পড়তে পড়তে কুয়ার ব্যাঙ এর মত পৃথিবীর অপার সম্ভাবনাগুলোকে দেখাই হয়না। অথচ এমনটা কি হবার কথা ছিল?
এমবিবিএস তো একটা প্রফেশনাল ডিগ্রি। এখানে লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজের আয় রোজগার করাটাই তো প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল। একে যদি বিসিএস বা এফসিপিএস অথবা এমএস/এমডি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জনের ডিগ্রী হিসেবে ধরা হয় তবে তা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। ক্যারিয়ার বিল্ড বা নামের পাশে কয়েকটি অক্ষর বসানোর জন্য যে কষ্ট আর ত্যাগ একজন ডাক্তার বর্তমান সময়ে করে যাচ্ছে তার যৌক্তিকতা আমার কাছে ধোয়াশাপূর্ণ।
যদি টাকা আয় করা এই ত্যাগের উদ্দেশ্য হয় তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি পাশ করার পরপরই জিপি প্র্যাকটিস (উপজেলা লেভেলে বা ইউনিয়ন) শুরু করা যেত তবে একজন ডাক্তারের প্রথম কিছুদিন (ধরে নিলাম ২ বছর) কষ্ট হলেও একসময় কিন্তু একটা সুনাম বা পরিচিতি তৈরি হয়ে যাবে। ২৮ বছর বয়সের মধ্যেই একজন ডাক্তার মাসিক ৫০ হাজার টাকা (সর্বনিম্ন ধরে নিয়ে) আয় করতে পারবে সহজেই। যা অন্য কনভেনশনাল বিষয়ে পড়ুয়া পেশার মানুষের কাছে সম্ভব নয়। এটাই কি আমাদের বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল না? যেখানে অন্য পেশাজীবিদের চাকরি ছাড়া আয়ের পথ নেই সেখানে আমার সন্তান বিনা চাকরিতে স্বাবলম্বি হবে। প্রত্যাশা বাস্তবতার মাঝে কত ফারাক!
অথবা সম্মান এবং পজিশন এই ত্যাগের কারণ হয় তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের মাঝে আপনি একজন ডাক্তার হয়েছেন এটাই কি বিশাল সম্মানের নয়? মেডিকেলে ভর্তি থেকে এখন পর্যন্ত যেকোন মানুষের কাছে যে সম্মান পেয়েছি এর থেকে আর কি চাই? যারা ডাক্তার হয়েও সম্মান বা পজিশন নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন তাদের ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স রয়েছে বলে আমার ধারণা। আর কোন ডিগ্রি বা পজিশন আপনার সম্মানের গ্যারান্টি হতে পারেনা বা অসম্মানের প্রতিরক্ষা হতে পারেনা।
এর বাইরে আসে, নিজের ক্যারিয়ার বিল্ড করা, দক্ষতা অর্জন করা, উন্নত চিকিৎসা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। যদি এ উদ্দেশ্য হয়েই থাকে, তবে এর জন্য যে পরিশ্রম বা ত্যাগ সেটা আপনাকে করতেই হবে। তাতে আপনার ৪০ বছর বয়স হোক বা ৫০ বছর সেই বোঝা আপনি নিজেই নিজের কাধে নিয়েছেন। এখানে সিস্টেমের দোষ ধরবেন কেন? ক্যাপাসিটি বিল্ড তো প্রফেসর হবার পরেও করতে হয়। এফসিপিএস ট্রেনিং ৫ বছর হয়েছে কিন্তু এমবিবিএস এর পর এফসিপিএস তো বাধ্যতামূলক কিছু নয়।
আমরা ডাক্তাররা পেশেন্টের রিস্ক বেনিফিট রেশিও ঠিক করে তার চিকিৎসা দেই বা সিদ্ধান্ত নেই। অথচ নিজেদের জীবনের রিস্ক বেনেফিট রেশিওর হিসেবটা মেলাতে আমরা খুবই আনাড়ি। একজন ডাক্তার তার জীবনের প্রথম ৪০-৪৫ বছর যে ত্যাগ করে চলে ক্যারিয়ার বিল্ড করার জন্য তার থেকে অল্পে তুষ্ট থেকে প্রথম থেকেই যদি পেশাগত জীবনে পদার্পন করত তবে লাভ ক্ষতির হিসেবটা আকাশ পাতাল পার্থক্য হত? যদি হয়েও থাকে তবুও মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে তরুণ বয়স থেকেই পরিবারকে সাপোর্ট দেয়া অথবা সঠিক সময়ে জীবনের বাকি ধাপগুলো (বিয়ে, সন্তান সন্ততি) সম্পন্ন করা বা পারিবারিক প্রশান্তির কথা হিসেব করলে শেষ বয়সে এসে ঢাকা শহরে দুইটা ফ্ল্যাট আর ব্যাংকে কোটি টাকা বা বিশাল প্রতিপত্তি আর সম্মানের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য চোখে পড়ে না।
তাই ক্যারিয়ার বিল্ড/পোস্ট গ্রাজুয়েশন নামক “ম্যাস হিস্টেরিয়া”র মাঝে নিমজ্জিত আমাদের ডাক্তার সোসাইটির মাঝে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো খুবই প্রয়োজন। একদিন এক বাসের পিছনে সহজ ভাষায় লেখা কথাটি বারবার মনে পড়ে “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে”।
তাই দৃষ্টিভঙ্গি হোক, সিম্পিল এমবিবিএস সিম্পিল জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট।
(এফসিপিএস এর ট্রেনিং ৫ বছর করা হয়েছে এর নিন্দা জানাই। এর ফলে বাংলাদেশের সাস্থ্যসেবা বা এর মান এর কি ক্ষতি হবে সেটা অন্য বিতর্ক। সেটি এর সাথে সম্পর্কিত নয়)
লেখক নাহিদ জামান
মুল লেখার লিঙ্ক এখানে
কারণ হিসেবে ধরে নেয়া হয় যে, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হলে কর্ম করে বা রোজগার করে চলতে পারবে তার সন্তান। কেউই তার সন্তানকে মানবতার সেবার জন্য ডাক্তার করার মানসিকতা পোষণ করে না। মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন সন্তান যখন ডাক্তারী পড়াশোনা করে তখন তার পরিবার এই আশা পোষণ করে যে, তার সন্তান ডাক্তার হয়ে গেলে পরিবারের দায়িত্ব নেবে বা সহযোগিতা করবে।
কিন্তু পাশ করার পর মাসিক পনের হাজার টাকা ইন্টার্ন ডিউটি করে পরবর্তীতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন নামক মরিচিকা আর ক্যারিয়ার বিল্ড করার জন্যে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। মাঝে মাঝে বিসিএস নামক ভিন্ন মরিচিকার পিছনে ছোটা। এভাবে করেই একজন ডাক্তার তার জীবনের ১০ থেকে ১২ বছর (খুব ভাগ্যবান হলে) খরচ করে ফেলে। এই সময়টাতে একজন ডাক্তার এবং তার পরিবার কি পরিমাণ কষ্টের মাঝে থাকে তা ভুক্তভোগি এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ বোঝে না। এখানে আমার প্রশ্ন আসছে, এত কিছু করে কি লাভ?
একজন ছাত্রের সবকিছু ঠিকভাবে চললে ইন্টার্ন শেষ করতে করতে বয়স ২৫ বা ২৬ হয়ে যায়। এরপর একজন ডাক্তারের জীবনে সবচেয়ে বিভীষিকাময় সময়ের শুরু হয়। এত এত মত আর এত পথ!
অবধারিতভাবেই সব পথই অত্যন্ত সংকীর্ণ। গুটি কয়েকজনই সে রাস্তা দিয়ে যেতে পারে। তখন বিসিএস নাকি পোস্ট গ্রাজুয়েশন? পরিবারের সাপোর্ট নাকি বিয়ে? চেম্বার নাকি পিজিটি বা অনারারি? খ্যাপ নাকি চাকরি? কি করা উচিত বা তার জন্য কোনটা বেস্ট অপশন তা বুঝে ওঠা সম্ভব নয়।
এই ঘুর্ণিঝড়ে পরে একজন ডাক্তারের আর কিছু না হোক কনফিডেন্স শহীদ হয়ে যায়। লাইব্রেরীতে মাথা গুজে পড়তে পড়তে কুয়ার ব্যাঙ এর মত পৃথিবীর অপার সম্ভাবনাগুলোকে দেখাই হয়না। অথচ এমনটা কি হবার কথা ছিল?
এমবিবিএস তো একটা প্রফেশনাল ডিগ্রি। এখানে লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজের আয় রোজগার করাটাই তো প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল। একে যদি বিসিএস বা এফসিপিএস অথবা এমএস/এমডি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জনের ডিগ্রী হিসেবে ধরা হয় তবে তা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। ক্যারিয়ার বিল্ড বা নামের পাশে কয়েকটি অক্ষর বসানোর জন্য যে কষ্ট আর ত্যাগ একজন ডাক্তার বর্তমান সময়ে করে যাচ্ছে তার যৌক্তিকতা আমার কাছে ধোয়াশাপূর্ণ।
যদি টাকা আয় করা এই ত্যাগের উদ্দেশ্য হয় তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি পাশ করার পরপরই জিপি প্র্যাকটিস (উপজেলা লেভেলে বা ইউনিয়ন) শুরু করা যেত তবে একজন ডাক্তারের প্রথম কিছুদিন (ধরে নিলাম ২ বছর) কষ্ট হলেও একসময় কিন্তু একটা সুনাম বা পরিচিতি তৈরি হয়ে যাবে। ২৮ বছর বয়সের মধ্যেই একজন ডাক্তার মাসিক ৫০ হাজার টাকা (সর্বনিম্ন ধরে নিয়ে) আয় করতে পারবে সহজেই। যা অন্য কনভেনশনাল বিষয়ে পড়ুয়া পেশার মানুষের কাছে সম্ভব নয়। এটাই কি আমাদের বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল না? যেখানে অন্য পেশাজীবিদের চাকরি ছাড়া আয়ের পথ নেই সেখানে আমার সন্তান বিনা চাকরিতে স্বাবলম্বি হবে। প্রত্যাশা বাস্তবতার মাঝে কত ফারাক!
অথবা সম্মান এবং পজিশন এই ত্যাগের কারণ হয় তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের মাঝে আপনি একজন ডাক্তার হয়েছেন এটাই কি বিশাল সম্মানের নয়? মেডিকেলে ভর্তি থেকে এখন পর্যন্ত যেকোন মানুষের কাছে যে সম্মান পেয়েছি এর থেকে আর কি চাই? যারা ডাক্তার হয়েও সম্মান বা পজিশন নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন তাদের ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স রয়েছে বলে আমার ধারণা। আর কোন ডিগ্রি বা পজিশন আপনার সম্মানের গ্যারান্টি হতে পারেনা বা অসম্মানের প্রতিরক্ষা হতে পারেনা।
এর বাইরে আসে, নিজের ক্যারিয়ার বিল্ড করা, দক্ষতা অর্জন করা, উন্নত চিকিৎসা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। যদি এ উদ্দেশ্য হয়েই থাকে, তবে এর জন্য যে পরিশ্রম বা ত্যাগ সেটা আপনাকে করতেই হবে। তাতে আপনার ৪০ বছর বয়স হোক বা ৫০ বছর সেই বোঝা আপনি নিজেই নিজের কাধে নিয়েছেন। এখানে সিস্টেমের দোষ ধরবেন কেন? ক্যাপাসিটি বিল্ড তো প্রফেসর হবার পরেও করতে হয়। এফসিপিএস ট্রেনিং ৫ বছর হয়েছে কিন্তু এমবিবিএস এর পর এফসিপিএস তো বাধ্যতামূলক কিছু নয়।
আমরা ডাক্তাররা পেশেন্টের রিস্ক বেনিফিট রেশিও ঠিক করে তার চিকিৎসা দেই বা সিদ্ধান্ত নেই। অথচ নিজেদের জীবনের রিস্ক বেনেফিট রেশিওর হিসেবটা মেলাতে আমরা খুবই আনাড়ি। একজন ডাক্তার তার জীবনের প্রথম ৪০-৪৫ বছর যে ত্যাগ করে চলে ক্যারিয়ার বিল্ড করার জন্য তার থেকে অল্পে তুষ্ট থেকে প্রথম থেকেই যদি পেশাগত জীবনে পদার্পন করত তবে লাভ ক্ষতির হিসেবটা আকাশ পাতাল পার্থক্য হত? যদি হয়েও থাকে তবুও মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে তরুণ বয়স থেকেই পরিবারকে সাপোর্ট দেয়া অথবা সঠিক সময়ে জীবনের বাকি ধাপগুলো (বিয়ে, সন্তান সন্ততি) সম্পন্ন করা বা পারিবারিক প্রশান্তির কথা হিসেব করলে শেষ বয়সে এসে ঢাকা শহরে দুইটা ফ্ল্যাট আর ব্যাংকে কোটি টাকা বা বিশাল প্রতিপত্তি আর সম্মানের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য চোখে পড়ে না।
তাই ক্যারিয়ার বিল্ড/পোস্ট গ্রাজুয়েশন নামক “ম্যাস হিস্টেরিয়া”র মাঝে নিমজ্জিত আমাদের ডাক্তার সোসাইটির মাঝে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো খুবই প্রয়োজন। একদিন এক বাসের পিছনে সহজ ভাষায় লেখা কথাটি বারবার মনে পড়ে “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে”।
তাই দৃষ্টিভঙ্গি হোক, সিম্পিল এমবিবিএস সিম্পিল জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট।
(এফসিপিএস এর ট্রেনিং ৫ বছর করা হয়েছে এর নিন্দা জানাই। এর ফলে বাংলাদেশের সাস্থ্যসেবা বা এর মান এর কি ক্ষতি হবে সেটা অন্য বিতর্ক। সেটি এর সাথে সম্পর্কিত নয়)
লেখক নাহিদ জামান
মুল লেখার লিঙ্ক এখানে
No comments:
Post a Comment