তিন মাস আগেও দেশের সকল পেশেন্ট মারা যেতো শুধু চিকিৎসকের অবহেলায়!!!
হঠাৎ কি হয়ে গেলো এখন মারা যাচ্ছে অক্সিজেন সংকট, যন্ত্রপাতি সংকট, আই,সি,ইউ সংকট, অক্সিজেন মাস্ক সংকট, বেড নেই এসব কারনে!!!
শুনেন রে ভাই আগেও এসব কারনেই মারা যেতো ৯০ ভাগ। তখন সব দোষ ডাক্তারের উপর চাপিয়ে ফেইসবুকে ভাইরাল হবার ধান্দায় না থাকলে বা সব দোষ ডাক্তারের উপর চাপিয়ে নিউজ না করে যদি এসব নিয়ে নিউজ করতেন তবে এই সংকট এখন কিছু হলেও কমতো। ডাক্তার ই স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার একমাত্র সমাধান না।
আগে ডাক্তারদের বাধ্য করেছেন বেড ফুল হয়ে গেলেও বাড়ান্দায়, সিড়িতে, যে চিপাই পাওয়া যায় পেশেন্ট ভর্তি দিতে হবে। ৫০০ বেডের হাসপাতাল সেট আপে ২০০০ পেশেন্টের সেবা দিতে হবে এবং তাও পার্ফেক্ট ভাবে।
করোনা পেশেন্ট যখন বাড়ান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছেনা এখন দেখছেন বেড সংকট। একচুয়ালি বাড়ান্দায় বা সিড়িতে কখনোই কাঙ্খিত সেবা পাওয়া যায়না। তখন বেড বাড়ানোর জন্য সোচ্চার হননি। সিগারেটের দাম বাড়লে আন্দোলন করতে পারেন ১৬ কোটি মানুষের দেশে এতো কম হাসপাতাল বেড কেনো সেটা নিয়ে কিছু বলেন নি। সব দোষ ডাক্তারের ঘাড়ে দিয়ে সমাধান খুজেছেন।
নতুন নতুন হাসপাতাল হোক। আধুনিক হাসপাতাল হোক সেটা চাননি বরং চলে গিয়েছেন ভারত বা সিংগাপুর । এখন যাওয়া যাচ্ছেনা এখন চিল্লাচ্ছেন কোয়ালিটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নেই।
ডাক্তারদের উচ্চতর শিক্ষা বা প্রশিক্ষনের কথা কখনো চিন্তা করেন নি নানা ভাবে সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন । তাদের ইউনিয়নেই রাখার জন্য চেস্টা করেছেন সব সময়। ইউনিয়ন সাবসেন্টারে কি সেবা দেয়া হয়??? দুইটা প্যারাসিটামল, বি কমপ্লেক্স দিয়ে রেফার্ড করার জন্য চিকিৎসক প্রয়োজন হয়না স্বাস্থ্য সহকারীরাই পারে।
এখন আর ওই দিন নাই যে যোগাযোগ ব্যাবস্থার অবস্থা খারাপ। গ্রাম থেকে মানুষ উপজেলায় আসতে পারেনা। এখন রোগ হলে উপজেলায় না মানুষ ডিরেক্ট জেলায় যায় তাও রেফার্ড হয়ে এবং টাইম লস হয়ে।
কোয়ান্টিটির দিন শেষ, কোনোরকম বাড়ান্দায় রেখে চিকিৎসাদেয়ার দিনও শেষ।
পর্যাপ্ত সয্যা বাড়ান লাগলে ৩ গুন করেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির দিকে বেশি মনোযোগ দিন। চিকিৎসকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করুন। অত্যাধুনিক হাসপাতাল করুন।
করোনা আমাদের সামনে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার কংকাল পর্যন্ত তুলে ধরেছে এর থেকে শিক্ষা না পেলে ভবিষ্যতে কপালে খারাপ কিছুই আসছে। মনে রাখবেন চিকনগুনিয়া যায় ডেংগু আসে ডেংগু যায় করোনা আসে এভাবে চলতেই থাকবে৷
কার্টেসিঃ Atiquthzzaman Somap
No comments:
Post a Comment