Tuesday, November 27, 2018

GP center Project (Offline Project) for novice doctors

দেশে বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি ডাক্তার। এদের সিংহভাগই তরুন চিকিৎসক।\
 এই তরুন চিকিৎসকদের সামনে একসাথে চেপে বসে তিনটি দায়িত্ব-
 ১) চিকিৎসক হওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মেই উপার্জন করে পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া 
২) উচ্চশিক্ষায় রত হওয়া
 ৩) চাকরি/বিসিএসের চেষ্টা করা। 

 এই ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আমাদের অধিকাংশ তরুন চিকিৎসক হতাশ হয়ে পড়েন।
 হতাশা থেকে জন্ম নেয় ব্যক্তিগত জীবনে নানা জটিলতা এমনকি তা আত্মহত্যা পর্যন্ত গড়ায়
। ১) সাথে যোগ হয় ক্লিনিক/বেসরকারী হাসপাতালে নামমাত্র বেতনে অপরিসীম পরিশ্রম। 
 ২) সীমিত উচ্চশিক্ষার সুযোগ, পাশে দীর্ঘ সূত্রিতা 
৩) চাকরির অনিশ্চয়তা, অসন্তোস আর উচ্চশিক্ষায় বাধা পড়া


 কিন্তু কোন কি পথ নেই? 
 এত মেধাবী চিকিৎসক, অথচ এভাবে হতাশার জীবন বেঁছে নেবে?
 পথ আছে পথেই- আমরা খুঁজে পাই না।

 কিভাবে? 

 বিভিন্ন গবেষণা বলছে দেশের ৭৫-৮০ ভাগ মানুষ তাদের অসুস্থ্যতার সময় চিকিৎসা নেয় কোয়াকদের কাছ থেকে। এই পরিসংখ্যান শুধু প্রত্যন্ত গ্রামের না এমনকি খোদ ঢাকা শহরেরও। 
 আর এর কারন প্রাকটিসিং ডাক্তারের অভাব। 
এই অভাবকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে কোয়াক আর দালাল চক্রের ব্যবসা, সাথে আছে ভূয়া ডাক্তার! তাহলে এই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে কি খুব কষ্ট হবে?

 আমাদের প্রথম কাজ হবে নিজেদের প্রাকটিসের উপযোগী করা এবং দেশের সর্বত্র প্রাকটিসিং ডক্টর দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া। 

এতে দুটো লাভ। 
এক মানুষ হাতের কাছে যোগ্য সেবা পেয়ে ভুঁইফোঁড় ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক চক্রের দ্বারা প্রতারিত হয়ে চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা হারাবে না, চিকিৎসক গন ফিরে পাবে পুরনো সম্মান।
 অন্যদিকে 
একজন তরুন চিকিৎসক যেভাবে লাভবান হবেন তা হল- ১) ক্লিনিক নির্ভর হয়ে থাকতে হবে না, ভাল প্রাকটিস জমে গেলে নিজের সুবিধা মত দিনের দিনের একটা সময় প্রাকটিসের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া যাবে। ২) চাকরি হলেও চাকরির পাশাপাশি প্র্যাকটিস স্বচ্ছলতা এনে দেবে আর ৩) যদি অনারারী করে ডিগ্রী করা লাগে তবুও বাকি সময় প্র্যাকটিস করে চলা যাবে। 

 সম্মান পদ বা পদমর্যাদা কিংবা ডিগ্রী থেকে আসে না। সম্মান আসে উপযুক্ত কর্ম থেকে।

 শুভকামনা সবার জন্য

To Learn Details CLICK HERE.

Sunday, November 25, 2018

পত্রিকার পাতায় বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। বেসরকারী মেডিকেল কলেজগুলো আপনাকে আহবান জানাচ্ছে।

বেসরকারী মেডিকেল কলেজ এর মাঝে বেশ কিছু আছে যে গুলো খুবই ভাল। এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নতুন সরকারী মেডিকেল কলেজগুলো থেকেও উন্নত। কিন্তু অনেক বেসরকারী মেডিকেল কলেজই আছে যাদের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। এইসব মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে একজন ভাল চিকিতসক হওয়া কঠিন।
.
.
আমার ব্যাক্তিগত মতামত থেকে কয়েকটি সতকর্তা মেনে চলা উচিত বলে মনে করি। যাতে করে পরবর্তীতে কোন সমস্যার মুখোমুখি ছাত্র ছাত্রীরা বা অভিভাবকরা না হন।
.
.
প্রথমত দেখে নিন, মেডিকেল কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদিত কিনা। যেমন ঢাকার মেডিকেল কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। রাজশাহীর মেডিকেল কলেজগুলো,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
.
.
.
এরপরই দেখুন, তাদের একটি চালু হাসপাতাল আছে কিনা। আপনার চকচকে হাসপাতাল দরকার নাই।
 যেই হাসপাতালে রোগী হয় ভাল সেটা আপনার দরকার। আর ভাল কথা, হাসপাতালে গরীব রোগীদের জন্য ফ্রি বেড, ফ্রি অপারেশন এর ব্যাবস্থা আছে কিনা- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
কারন ডাক্তারিবিদ্যা একটি প্র‍্যাক্টিক্যাল বিষয়। আবার মনে রাইখেন পাচ দশটা ফ্রি বেড দিয়ে কিছু হবে না। কম করে হলেও পঞ্চাশটি ফ্রি বেড লাগবে। এছাড়া স্বল্প ভাড়ার যথেষ্ট বেড থাকতে হবে। উদাহরনস্বরূপ বলি, ঢাকার একটি বেসরকারী মেডিকেলে ফ্রি বেড মাত্র ত্রিশটা। স্বল্পমূল্যের বেড নাই। তাহলে এই মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ডাক্তাররা কি শিখবে?
.
.
পর্যাপ্ত শিক্ষক আছেন কিনা দেখুন। বিশেষত রেজিষ্ট্রার, সিএ যারা সরাসরি ছাত্রদের শেখান তাদের যোগ্যতা কি দেখুন। সেটা বিএমডিসির নিয়ম কানুন মানে কিনা জানুন।
.
.
ভর্তির সময়ই সব খরচ সম্পর্কে জেনে নিন। কোন লুকানো খরচ আছে কিনা প্রশ্ন করুন। প্রতি বছর বেতন বাড়ায় কিনা, প্রফেশনাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয় কিনা।
.
.
.
জানুন, উক্ত মেডিকেল কলেজ থেকে কয়টি ব্যাচ পাস করেছে। এটা মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে ভাল ধারনা দেবে। অনেক ভাল মেডিকেল কলেজ থেকে পনেরটির উপরে ব্যাচ পাস করে বের হয়েছে।
.
.
যেসব মেডিকেল কলেজ কয়েকদিন পরপর শিক্ষক চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের বিষয়ে সাবধান।
.
.
.
মনোরম ক্যাম্পাসের ছবি দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। হাসপাতালের রোগী সংখ্যা দেখেন।
.
.
নতুন প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজ থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ। অবকাঠামো খুব ভাল হলে ভিন্ন কথা।
.
.
আর ভুলেও ভর্তি বিজ্ঞপ্তির নিয়মের বাইরে যাবেন না। পরে পস্তাবেন নিশ্চিত।
আর ও কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন। উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।
শেয়ার করুন। কেউ না কেউ উপকৃত হবে।

লেখক  তানভির আহমেদ