Thursday, October 17, 2019

আপনি আপনার সম্ভাবনাময় সন্তানটিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে কেনো এই অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাচ্ছেন?

যারা যারা সরকারি মেডিকেলে টিকেছেন, তাদেরকে অভিনন্দন, যারা যারা ভর্তি পরীক্ষায় ৪০এর কম মার্ক পেয়েছেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে কিছু লেখার নাই। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হকরা পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্টের পরের দিন যে কলামখানা লিখে থাকেন, সেটা পড়ে নিবেন।

এই লেখাটা মূলত প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা সরকারি মেডিকেলে টিকেন নাই কিন্তু "পাশ করেছেন" এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মালিক পক্ষের সম্ভাব্য মুরগী হওয়ার অপেক্ষায় আছেন, তাদের অভিভাবকদের জন্য।

আপনার সন্তানকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানোর আগে আরো একবার চিন্তা করুন।

গতবছর (২০১৮-১৯) বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য সরকার ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঠিক করে দিয়েছিলো। এই বছর এই অংকটা আরো বাড়বে। যারা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়েন, তারা জানেন আইসবার্গের ভাসমান অংশের মতোই এই টাকা হচ্ছে দৃশ্যমান অংশ। এই টাকা দিয়ে কেউই বেসরকারি মেডিকেল থেকে পাশ করে বের হতে পারবেন না। এর বাইরেও নানা ধরণের ফী যুক্ত হয়ে এই খরচ ত্রিশ লাখ পেরোবে।
এখন প্রিয় অভিভাবক, এই ত্রিশ লাখ টাকা দিয়ে আপনার সন্তানের নামের পাশে ডাক্তার লেখার মোহ থেকে বের হয়ে একবার শান্তভাবে চিন্তা করুন।কেনো আপনি তাকে ডাক্তার বানাতে চান। যাবতীয় আদর্শিক বাকোয়াজ আর ছোটবেলার রচনার কথা ভুলে আপনি যদি সৎ হন, আপনি স্বীকার করবেন, স্রেফ স্বচ্ছলতার জন্য, সম্মানের জন্য। এদেশে কালকে যদি কেউ আবিষ্কার করে পালি কিংবা সংস্কৃত পড়ালে প্রচুর টাকা আর সম্মান মিলবে, দলে দলেতো বাচ্চাদের তাই পড়াবেন। সম্মানের কথাতো আপেক্ষিক বিষয়। তারপরও অনলাইনে ডাক্তারদের নিয়ে যে মুখরোচক আলোচনা হয় আর আপনার কাছের ডাক্তার আত্মীয়কে শুনিয়ে শুনিয়ে অধিকাংশ ডাক্তারের নামের আগে যেভাবে কসাই বসিয়ে দেন, তাতে সম্মান কতটুকু আছে, অনুমান করে নিন। বাকী বিষয়টাতে আসি।

আপনার আদরের সন্তানকে এতো টাকা খরচ করিয়ে পড়ানোর পরে তার বেতন কতো হবে জানেন?
ছয় বছর আগে যেসব অভিভাবক ঠিক ত্রিশ লাখ টাকা দিয়ে তাদের সন্তানকে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলেন, বেসরকারি হাসপাতালে তাদের এখন বেতন ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে। তিন বছর আগে আমি যখন বের হই, তখনো এই বেতন ছিলো, এখনো এই বেতন। পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন ঘটবে, রোনালদো তার আরো কয়েকটা গার্লফ্রেন্ড পরিবর্তন করবে, হয়তো কোনো এক বৃহস্পতিবার সাউথ আফ্রিকা সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে পৌছে যাবে, হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল থেকে খালেদ মাহমুদ সুজন বিদায় নিয়ে চলে যাবে। সম্ভব, সবই সম্ভব। শুধু একটা ব্যাপার আমি জানি অসম্ভব। সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডিউটি ডাক্তার নামক যে অসম্মানের মধ্য দিয়ে তরুণ চিকিৎসকরা যাচ্ছে, তার কোনো পরিবর্তন হবেনা। আগামী তিন বছর পরেও এদের বেতনের তেমন কোনো হেরফের হবেনা।

সরকারি মেডিকেলে আমরা যারা পড়ে এসেছি, তাদের জন্য এটা মেনে নেওয়াটা সহজ। কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ছেলে যে টাকা দিয়ে পড়াশোনা করেছে, আমিও মোটামুটি একই খরচে পড়াশোনা করেছি। কষ্টটুকুর কথা আপাতত ভুলে গেলাম। কষ্ট ভুলে যাওয়া অনেক সহজ। কিন্তু মধ্যবিত্ত ( আসলে বেসরকারি মেডিকেলে পড়ুয়া অধিকাংশ ছাত্রই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই আসে) পরিবারের ত্রিশ লাখ টাকা খরচ করে পড়া চিকিৎসক তরুণের সামনে যে অনিশ্চয়তা পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে, সেটা উপেক্ষা করা সহজ নয়।
বেসরকারি মেডিকেলে পড়তে থাকা এবং পড়া শেষ করে ডাক্তার হয়ে বের হয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে খাবি খেতে থাকা অনেক তরুণের সাথে আমার পরিচয়। এদের মধ্যে অনেকেই প্রচন্ড মেধাবী। অনেকেই কষ্ট করে তাদের এই প্যাশান এবং ভালবাসার পেশাটায় সফলতার জায়গা তৈরি করে নিচ্ছেন। কিন্তু অধিকাংশই পারছেন না। প্রচুর ধার দেনা করে ফ্রি ভিসায় মধ্যপ্রাচ্য গিয়ে গ্রামের তরুণটি দেখে তার চাকরি নেই। যে দালালের হাত ধরে সে বিদেশে এসেছে, সে পকেটে কয়েক দিনার ঢুকিয়ে দিয়ে সটকে পড়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পরিবারের সঞ্চিত এবং কষ্টার্জিত ত্রিশ লাখ টাকা খরচ করে যে তরুণ চিকিৎসকটি বের হয়, তার চোখে আমি মধ্যপ্রাচ্যে দালালের হাতে প্রতারণার শিকার হওয়া তরুণটির চাইতেও আমি বেশি অনিশ্চয়তা এবং হতাশা খেলা করতে দেখেছি। দালালটি অন্তত পকেটে কিছু টাকা গুজে দিয়ে যায়। বেসরকারি মেডিকেলের মালিকপক্ষকে আমি এর চেয়েও অমানবিক হতে দেখেছি।

ডা. জাফরুল্লাহ সাহেবের গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ থেকে যে তরুণটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ডাক্তার হয়েছে, তাকে ইন্টার্নির সময় দেয়া হয় সাত হাজার টাকা। ইন্টার্নি শেষে লেকচারারদের বেতন বিশ হাজারের উপরে উঠেনা।
এই রাষ্ট্রের আরো কতো চিকিৎসক দরকার, কেনো এই দুরবস্থা চিকিৎসকদের, কিভাবে ব্যাংএর ছাতার মতো এতো বেসরকারি ( এবং কিছু সরকারিও) মেডিকেল গড়ে উঠে- এই প্রশ্নগুলো অনেক বিতর্ক তৈরি করবে, মন্ত্রীমশায় অনেক অনেক চোখ রাংগাবেন, লিজেন্ডারি অধ্যাপকরা সরকারি মেডিকেলে থাকা অবস্থায় বেসরকারি মেডিকেল থেকে পড়ে সরকারি মেডিকেলে অবৈতনিক ট্রেনিং করতে তরুণটির দিকে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে তাকাবেন, চুড়ান্ত অপমান করবেন এবং অবসর গ্রহণ করার পর একটা বেসরকারি মেডিকেলে প্রিন্সিপ্যাল হয়ে বসবেন।
এসব বড় বড় বিষয় নিয়ে আসলে আমার আপনার কিছুই করার নাই। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে চুড়ান্তভাবে গণবিরোধীরুপে গড়ে তোলা এবং মেডিকেল সেক্টরকে চুড়ান্তভাবে ধ্বংসের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দেয়ার জন্য নীতিনির্ধারকদের আপাতত অভিশাপ দিই।

কিন্তু আপনি আপনার সম্ভাবনাময় সন্তানটিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে কেনো এই অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাচ্ছেন?

নচিকেতা নীলাঞ্জনার দু:খে দাম দিয়ে যন্ত্রণা কিনে। আপনি ত্রিশ থেকে চল্লিশ লাখ টাকা খরচ করে সন্তানের জন্য এ কোন যন্ত্রনা কিনতে চান

> কালেক্টেড পোস্ট <

দৃষ্টিভঙ্গি হোক, সিম্পিল এমবিবিএস সিম্পিল জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট।

বাংলাদেশে একজন ডাক্তারের প্রতিষ্ঠিত হতে ৪০ বছর বয়স হয়ে যায় বা সিম্পল এমবিবিএস এর দাম নাই। এই কথা গুলো  কমিউনিটির মধ্যে একটি প্রচলিত ব্যাপার বা ধারণা। বাংলাদেশের অধিকাংশ বাবা মা চায় তাদের সন্তান ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হোক।

 কারণ হিসেবে ধরে নেয়া হয় যে, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হলে কর্ম করে বা রোজগার করে চলতে পারবে তার সন্তান। কেউই তার সন্তানকে মানবতার সেবার জন্য ডাক্তার করার মানসিকতা পোষণ করে না। মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন সন্তান যখন ডাক্তারী পড়াশোনা করে তখন তার পরিবার এই আশা পোষণ করে যে, তার সন্তান ডাক্তার হয়ে গেলে পরিবারের দায়িত্ব নেবে বা সহযোগিতা করবে।

কিন্তু পাশ করার পর মাসিক পনের হাজার টাকা ইন্টার্ন ডিউটি করে পরবর্তীতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন নামক মরিচিকা আর ক্যারিয়ার বিল্ড করার জন্যে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। মাঝে মাঝে বিসিএস নামক ভিন্ন মরিচিকার পিছনে ছোটা। এভাবে করেই একজন ডাক্তার তার জীবনের ১০ থেকে ১২ বছর (খুব ভাগ্যবান হলে) খরচ করে ফেলে। এই সময়টাতে একজন ডাক্তার এবং তার পরিবার কি পরিমাণ কষ্টের মাঝে থাকে তা ভুক্তভোগি এবং আল্লাহ ছাড়া কেউ বোঝে না। এখানে আমার প্রশ্ন আসছে, এত কিছু করে কি লাভ?

একজন ছাত্রের সবকিছু ঠিকভাবে চললে ইন্টার্ন শেষ করতে করতে বয়স ২৫ বা ২৬ হয়ে যায়। এরপর একজন ডাক্তারের জীবনে সবচেয়ে বিভীষিকাময় সময়ের শুরু হয়। এত এত মত আর এত পথ!

 অবধারিতভাবেই সব পথই অত্যন্ত সংকীর্ণ। গুটি কয়েকজনই সে রাস্তা দিয়ে যেতে পারে। তখন বিসিএস নাকি পোস্ট গ্রাজুয়েশন? পরিবারের সাপোর্ট নাকি বিয়ে? চেম্বার নাকি পিজিটি বা অনারারি? খ্যাপ নাকি চাকরি? কি করা উচিত বা তার জন্য কোনটা বেস্ট অপশন তা বুঝে ওঠা সম্ভব নয়।

এই ঘুর্ণিঝড়ে পরে একজন ডাক্তারের আর কিছু না হোক কনফিডেন্স শহীদ হয়ে যায়। লাইব্রেরীতে মাথা গুজে পড়তে পড়তে কুয়ার ব্যাঙ এর মত পৃথিবীর অপার সম্ভাবনাগুলোকে দেখাই হয়না। অথচ এমনটা কি হবার কথা ছিল? 

 এমবিবিএস তো একটা প্রফেশনাল ডিগ্রি। এখানে লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজের আয় রোজগার করাটাই তো প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল। একে যদি বিসিএস বা এফসিপিএস অথবা এমএস/এমডি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জনের ডিগ্রী হিসেবে ধরা হয় তবে তা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। ক্যারিয়ার বিল্ড বা নামের পাশে কয়েকটি অক্ষর বসানোর জন্য যে কষ্ট আর ত্যাগ একজন ডাক্তার বর্তমান সময়ে করে যাচ্ছে তার যৌক্তিকতা আমার কাছে ধোয়াশাপূর্ণ। 
যদি টাকা আয় করা এই ত্যাগের উদ্দেশ্য হয় তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি পাশ করার পরপরই জিপি প্র্যাকটিস (উপজেলা লেভেলে বা ইউনিয়ন) শুরু করা যেত তবে একজন ডাক্তারের প্রথম কিছুদিন (ধরে নিলাম ২ বছর) কষ্ট হলেও একসময় কিন্তু একটা সুনাম বা পরিচিতি তৈরি হয়ে যাবে। ২৮ বছর বয়সের মধ্যেই একজন ডাক্তার মাসিক ৫০ হাজার টাকা (সর্বনিম্ন ধরে নিয়ে) আয় করতে পারবে সহজেই। যা অন্য কনভেনশনাল বিষয়ে পড়ুয়া পেশার মানুষের কাছে সম্ভব নয়। এটাই কি আমাদের বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল না? যেখানে অন্য পেশাজীবিদের চাকরি ছাড়া আয়ের পথ নেই সেখানে আমার সন্তান বিনা চাকরিতে স্বাবলম্বি হবে। প্রত্যাশা বাস্তবতার মাঝে কত ফারাক!

অথবা সম্মান এবং পজিশন এই ত্যাগের কারণ হয় তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের মাঝে আপনি একজন ডাক্তার হয়েছেন এটাই কি বিশাল সম্মানের নয়? মেডিকেলে ভর্তি থেকে এখন পর্যন্ত যেকোন মানুষের কাছে যে সম্মান পেয়েছি এর থেকে আর কি চাই? যারা ডাক্তার হয়েও সম্মান বা পজিশন নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন তাদের ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স রয়েছে বলে আমার ধারণা। আর কোন ডিগ্রি বা পজিশন আপনার সম্মানের গ্যারান্টি হতে পারেনা বা অসম্মানের প্রতিরক্ষা হতে পারেনা।

এর বাইরে আসে, নিজের ক্যারিয়ার বিল্ড করা, দক্ষতা অর্জন করা, উন্নত চিকিৎসা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। যদি এ উদ্দেশ্য হয়েই থাকে, তবে এর জন্য যে পরিশ্রম বা ত্যাগ সেটা আপনাকে করতেই হবে। তাতে আপনার ৪০ বছর বয়স হোক বা ৫০ বছর সেই বোঝা আপনি নিজেই নিজের কাধে নিয়েছেন। এখানে সিস্টেমের দোষ ধরবেন কেন? ক্যাপাসিটি বিল্ড তো প্রফেসর হবার পরেও করতে হয়। এফসিপিএস ট্রেনিং ৫ বছর হয়েছে কিন্তু এমবিবিএস এর পর এফসিপিএস তো বাধ্যতামূলক কিছু নয়।

আমরা ডাক্তাররা পেশেন্টের রিস্ক বেনিফিট রেশিও ঠিক করে তার চিকিৎসা দেই বা সিদ্ধান্ত নেই। অথচ নিজেদের জীবনের রিস্ক বেনেফিট রেশিওর হিসেবটা মেলাতে আমরা খুবই আনাড়ি। একজন ডাক্তার তার জীবনের প্রথম ৪০-৪৫ বছর যে ত্যাগ করে চলে ক্যারিয়ার বিল্ড করার জন্য তার থেকে অল্পে তুষ্ট থেকে প্রথম থেকেই যদি পেশাগত জীবনে পদার্পন করত তবে লাভ ক্ষতির হিসেবটা আকাশ পাতাল পার্থক্য হত? যদি হয়েও থাকে তবুও মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে তরুণ বয়স থেকেই পরিবারকে সাপোর্ট দেয়া অথবা সঠিক সময়ে জীবনের বাকি ধাপগুলো (বিয়ে, সন্তান সন্ততি) সম্পন্ন করা বা পারিবারিক প্রশান্তির কথা হিসেব করলে শেষ বয়সে এসে ঢাকা শহরে দুইটা ফ্ল্যাট আর ব্যাংকে কোটি টাকা বা বিশাল প্রতিপত্তি আর সম্মানের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য চোখে পড়ে না।

তাই ক্যারিয়ার বিল্ড/পোস্ট গ্রাজুয়েশন নামক “ম্যাস হিস্টেরিয়া”র মাঝে নিমজ্জিত আমাদের ডাক্তার সোসাইটির মাঝে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো খুবই প্রয়োজন। একদিন এক বাসের পিছনে সহজ ভাষায় লেখা কথাটি বারবার মনে পড়ে “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে”। 

তাই দৃষ্টিভঙ্গি হোক, সিম্পিল এমবিবিএস সিম্পিল জীবন ধারণের জন্য যথেষ্ট।

(এফসিপিএস এর ট্রেনিং ৫ বছর করা হয়েছে এর নিন্দা জানাই। এর ফলে বাংলাদেশের সাস্থ্যসেবা বা এর মান এর কি ক্ষতি হবে সেটা অন্য বিতর্ক। সেটি এর সাথে সম্পর্কিত নয়)

 লেখক নাহিদ জামান
মুল লেখার লিঙ্ক এখানে