Tuesday, April 30, 2019

ছবি ২ টি দেখুন



যে দেশে মুততে আর ডাক্তার দেখাইতে সমান টাকা (৫ টাকা) লাগে, সে দেশে থাকতে নেই। পিছু টান না থাকলে দেশ ছেড়ে চলে যা।
বাণীতে ঃ কোন একজন শিক্ষক।
ছবি ও স্ট্যাটাস ঃ সংগৃহীত


Sunday, April 28, 2019

খুব ভালোই বলেছেন মাশরাফি সাহেব

ক্যাপ্টেন, বলেন এখন আপনারে আমরা কি করবো??

" চাকরী করলে নিয়ম মেনে করবেন , বলেন আপনাকে এখন কি করবো ?"

খুব ভালোই বলেছেন মাশরাফি সাহেব...১৫ বছর ধরে বল করেন , আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোন টুর্নামেন্টের কোন কাপ ঘরে আনতে পারেন নি , বিশ্বকাপ তো অনেক পরের ব্যাপার ...২-৩ বছর পর হঠাৎ করে কোন ম্যাচ জিতলে আমরা সবাই লাফিয়ে উঠি ...বেশ বেশ বেশ সাবাস বাংলাদেশ

বলেন তো ,
--কোন দিন মাঠে একজন কম নিয়ে খেলেছেন ?? প্রতিটা হাসপাতালে অর্ধেকের কম জনবল নিয়ে আমরা প্রতিদিন খেলছি ...কোন নিয়মে ??

--একজন ডাক্তার মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে ,আবার মেডিকেল অফিসার হিসেবে অবসরে যান ...কোন নিয়মে??

-- উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কোন ইমারজেনসি মেডিকেল অফিসার পোস্ট নাই , তবু কেন আমরা ২৪ ঘণ্টা ইমারজেনসি চালু রাখি ...কোন নিয়মে??

--একজন অফিসার যোগদান করলে ৭ দিন পর্যন্ত প্রিপারেটরি লিভ পান , সে লিভ নিতে এমপি সাহেব কে বলে যেতে হবে ...কোন নিয়মে??

--মাশরাফি সাহেব , জীবনে দেশে বিদেশে মাগনা কোন ম্যাচ খেলেছেন ?? গিয়ে দেখেন কত ডাক্তার বছরের পর বছর মাগনা খাটছে ... কোন নিয়মে??

-- এত বড় জেলা সদর হাসপাতাল একজন কনসালটেন্টের পোস্ট কেন ? এত কষ্ট আর সেক্রিফাইসের পর আমরা যখন ডিগ্রী করি , তখন বছরের পর বছর (আমার মাত্র ৩ বছর ) পার হয় প্রমোশন হয় না ...কোন নিয়মে??

--একটি রোগী কে বাঁচাতে ডাক্তার যখন নিজের শরীর থেকে রক্ত দেয় , নির্ঘুম রাত পার করে ...আপনার মতো হর্তাকর্তারা কোন দিন বলেছেন , ডাক্তার সাহেব , থ্যাংক উ ?? বলেন নি... আমরা তা আশাও করিনা ...তাই বলে , সাংবাদিক ডেকে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য ডাক্তার কে অপমান করবেন ...কোন নিয়মে??

-- এমপি সাহেব , জীবনে তো বহু ম্যাচ হেরেছেন... লাখ লাখ টাকা পাওয়ার পরও ম্যাচ হারেন... কোনদিন পাবলিক আপনাদের গাঁয়ে হাত তুলেছে?? আপনাদের ক্রীড়া ভবন ভাংচুর করেছে ?? তবে , রোগী মারা গেলে আমাদের গাঁয়ে হাত তোলা হয় ...হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয় ...কোন নিয়মে??

বলেন মাশরাফি সাহেব , আপনাকে আমরা এখন কি করবো ??
DR.Riad Sharif 
ANAESTHESIOLOGIST
 SYLHET MAG OSMANI MEDICAL COLLEGE HOSPITAL


পুনশ্চ ;

নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ২৭ টি পদের ২০ টি পদই শূন্য!মাত্র ৭টি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৭ জন চিকিৎসক কে! এই ৭ জনের মধ্যে ১ জন সেই অভিযুক্ত সার্জারি কনসালটেন্ট। তার দ্রুত ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এরপর ওই ২০টি পদ শূন্য রাখার শাস্তির ব্যবস্থা হোক।
এটা তো স্রেফ প্রতারণা সেই এলাকার জনগনের সাথে!
একটা সদর হাসপাতাল অথচ সেখানে মেডিসিনের ডাক্তার নাই,হার্টের ডাক্তার নাই,চক্ষু ডাক্তার নাই,নাক কান গলার ডাক্তার নাই,রেডিওলোজীর ডাক্তার নাই! এত নাই নাই এর মাঝে আবার সবচেয়ে চমকপ্রদ হলো অজ্ঞানের ডাক্তার নাই!!
তো মশাই অজ্ঞানের ডাক্তারই যদি না থাকে ওই সার্জন হাসপাতালে ৩০ বছর টানা ২৪ ঘন্টা করে থাকলেই বা লাভটা কি?
সে কি ঘুম পাড়ানী মাসি মিসি গান গেয়ে রোগী ঘুম পাড়িয়ে অপারেশন করবে??
মশাই খুব তো বললেন যদি কোন রোগীর সার্জারির প্রয়োজন হয় তো রোগী কি বসে থাকবে?
শুধু বসে না ওখানে সার্জারির জন্য বসে থাকতে থাকতে শুয়ে যাবে তারপর একেবারে উপরেই চলে যাবে!
আপনার হাসপাতালে তো সার্জারিই হয় না! আর হয় ও নি কোনদিন।আপনি কি জানেন?হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হয়ে তো বসে আছেন!
ওই সার্জন ও বুঝেছে ওখানে তার কোন অপারেশনই করতে হবে না তাই ফাঁকিবাজি করেই দিন কাটাচ্ছে।
এখন আপনি বলেন নড়াইলবাসী আপনারে কি করবে?আপনি তো তাদের জনপ্রতিনিধি! হাসপাতালের এই সমস্যা নিয়ে কোনদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছেন?তার কাছে ডাক্তার চেয়েছেন?নাকি সারা মাস দেশে বিদেশে ব্যাট-বল খেলে এসে নড়াইলে যে দুই একটা দিন থেকেছেন তাতে জনগনের সামনে স্ট্যান্টবাজি করে পার করেছেন?
না আপনিই বলেন এই ধোকা এই প্রতারণার জন্য নড়াইলবাসী আপনাকে কি করবে?বলেন আপনি কি করবে তারা আপনাকে?ফাইজলামি করেন?
ওই সার্জনের বিচার হোক,পরে আপনার টা হোক।
ব্যাট-বল অনেক খেলছেন এখন থোন।জনপ্রতিনিধি হইছেন।এই কাজে মনোনিবেশ করেন।
সেই ১৯৮৬ থেকে এইদেশে ক্রিকেট চলতেছে।আজ ৩৩ বছর পেরিয়ে গেলো বহুদেশীয় তো বাকি থাক একটা ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট পর্যন্ত জিততে পারলেন না।সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বেচে থাকলে আপনাদের এই ৩৩ বছর নিয়ে 'কেউ কথা রাখেনি-২' লিখে ফেলতে পারতেন!
আর কত?কোন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশই তাদের ক্রিকেট কে এতটা পৃষ্ঠপোষকতা করেনি যতটা আপনারা পেয়েছেন এই দেশে!
কাড়ি কাড়ি টাকা উড়ানো হইছে! কথা রেখেছেন?ওহ কথা দেওয়ার সাহসটাই তো পাননি কখনো!
ব্যাট বল খেলে মাসে মাসে যে লাখ লাখ টাকা নেন ওই টাকা দিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে বাকি পোষ্টগুলোতে ডাক্তার নিয়োগ করে তাদের বেতন দেওয়া যাবে।তাহলে আর স্ট্যান্টবাজি করতে ঝটিকা সফরে হাসপাতালে যেয়ে হই-হাঙ্গামা করে সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে তা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা লাগবে না।

শজিমেক

Wednesday, April 10, 2019

চিকিৎসার জন্য খরচ করতে বাংলাদেশের মানুষের এত অনিহা কেন?!

 🤔
কারণ:
মাস শেষে বেতন পাবার পর সেই টাকায় কি কি হবে তা মানুষ ঠিক করে রাখে। অনেক সময় বেতন পাবার আগেই ঠিক করে রাখে।😌
টাকা জমায় টিভি খাট ফ্রিজ ফ্ল্যাট কিনবে বলে।😊
কেউ এজন্য টাকা জমায় না বা কিছু টাকা আলাদা করেও রাখে না যে হুট করে তার/পরিবারের কারো অসুখ হতে পারে। 🙄
বড় অসুখের কথা বাদ দিলাম। ছোট বা মাঝারি অসুখের জন্য তো একটা প্রিপারেশান রাখা উচিৎ।😇
কিন্তু তা কেউ করে না। আমরা ডাক্তাররাই হয়ত এ নিয়ে ভাবি না। ফলে হুট করে চিকিৎসার কিছু টাকা লাগলে ফ্রিজ বা ফ্ল্যাট কেনার টাকায় টান পরে যায়। তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়। মনে হয় এত কষ্ট করে টাকা জমালাম, সেটা এভাবে খরচ হয়ে যাচ্ছে!😭
ফলাফল স্বরূপ ডাক্তার দেখাতে গেলেই মানুষ টাকার দিকে তাকায়। টাকা দিতে কষ্ট হয়। 😨

এক কথায় যাপিত জীবনের সকল ইভেন্টের জন্য টাকা বাজেট থাকলেও চিকিৎসার জন্য কোন বাজেট থাকে না। তাই এ পারপাসে খরচ করতে গেলে মনে হয় এ খরচটা অতিরিক্ত হয়ে গেল।😢
এজন্যই বীমা ব্যবস্থা বা অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। এজন্য সবার আলাদা একাউন্টও থাকতে পারে।যেখানে ভবিষ্যৎ চিকিৎসার জন্য আলাদাভাবে কিছু টাকা জমা থাকবে। তাহলে এই খাতে ব্যায়কে আর অতিরিক্ত মনে হবে না। ভালভাবে ট্রিটমেন্ট করা সহজ হয়ে যাবে।😌
পেশেন্ট কমপ্লায়েন্স অটোমেটিকালি বেড়ে যাবে।
ডা. আবুল আলা
এসএসএমসি, ৪০ তম ব্যাচ

>> কালেক্টেড পোস্ট <<