Wednesday, April 27, 2022

পল্লী চিকিৎসক নামক একটা ভয়ঙ্কর দালাল শ্রেণী

 


পল্লী চিকিৎসক নামক একটা ভয়ঙ্কর দালাল শ্রেণী গড়ে উঠেছে। এদের কাজ হলো শহরে গরীব রোগীদের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা খরচের ৫০% পকেটে ঢুকানো। প্রমান চাইলে এদের কাউকে সাথে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে যাবেন। 
 
মানহীন, প্রয়োজনহীন,এবং হিসেবছাড়া অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠছে, অলিতে গলিতে।  এইসব মানহীন প্রতিষ্ঠান টিকে থাকার জন্য এইসব দালাল শ্রেণী গড়ে তুলেছে,যাদের নাম দিয়েছে মার্কেটিং।
 
আজ কোন একটা বিভাগীয় শহরে যদি ৩কোটি টাকার
ল্যাব ইনভেস্টিগেশন হয়,তার ১.৫ কোটি টাকাই চলে যায় এইসব পল্লী চিকিৎসক নামের দালাল শ্রেণীর পকেটে।
একটা অদৃশ্য বাজার গড়ে উঠেছে,লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হচ্ছে।
 
এই টাকার যোগান দিচ্ছেন সাধারণ রোগীরা, বিশেষত গরীব রোগীরা,যারা কখনোই শহরমুখী ছিলেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইসব দালাল শ্রেণী চিকিৎসক কে রোগী দেখানোর আগেই রোগীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ফেলে,যেগুলো বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয়।
 
এসব অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল দিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগ নির্ণয়ে চিকিসকরা অসুবিধায় পড়েন।
 
কোন চিকিৎসক যদি এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করেন কিংবা রোগীকে বোঝান, পরেরদিন থেকেই সেই চিকিৎসক এর উপর চাপ তৈরি হয় সেই নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পক্ষ থেকে।
 
এইসব দালাল শ্রেণী র আরেকটা কাজ হলো চিকিৎসক সম্পর্কে রোগীর মধ্যে অহেতুক ভীতি তৈরি করা, রোগ সম্পর্কে ভয় দেখানো। যাতে করে রোগীর সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থার একটা দূরত্ব তৈরি হয়।
সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এই দালাল শ্রেণীই সবচেয়ে বেশি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায়, রোগীদের হাসপাতাল বিমুখ করে।
 
এরা নামকরা চিকিৎসক, কিংবা ভালো চিকিৎসক দের ভয় পায়,কুৎসা ছড়ায়।
 
অথচ এদেরকে তৈরি করা হয়েছিল যখন এমবিবিএস চিকিৎসকের সংকট ছিল।
গ্রামের সাধারণ মানুষ এর সর্দি জ্বর, পাতলা পায়খানা র কিংবা সাময়িক চিকিৎসা দেবার জন্য এদের তৈরি করা হয়েছিল। 
 
বর্তমান সরকার অনেক এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছেন।
যারা বিভিন্ন হেলথ কমপ্লেক্স, এবং সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন। আউট ডোর সেবার জন্য এখন অপেক্ষায় থাকার কোন সুযোগ নেই।
 
রোগীদের জন্য পরামর্শ হলো সরকারি হাসপাতালে সেবা নিন, বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা নিতে চাইলে নিজে খোঁজ খবর নিয়ে যাবেন।
সহযোগিতা র নামে দালালদের পকেটে টাকা ভরবেন না।