Wednesday, September 21, 2016

রোগীরা এভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়লে তো এমন হবেই।

যে ডাক্তার প্রতিদিন ৮০-১০০ জন রোগী দেখেন , রোগীরা তাঁকে দেখানোর জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এমনকি ওই ডাক্তারের ভিজিট ফি ৮০০ টাকা হলে, তাঁকে দেখানোর জন্য তাঁর পিওনকে ১০০০ টাকা ঘুষ দিয়ে হলেও দেখাতে চেস্টা করে! এতে করে ওই ডাক্তার রোগীদেরকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না। ঠিকমতো সময় দিতে হলে রোগীকে ৩০ দিন পরে আসতে বলা হয়! ততদিনে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। রোগীরা এভাবে হুমড়ি খেয়ে পড়লে তো এমন হবেই, তাই না?

 অন্যদিকে একই রকম যোগ্যতার এবং সচ্চরিত্রবান অন্য অনেক ডাক্তার তাদের চেম্বারে খালি বসে থাকেন বা বড় জোর ৫ -৬ জন রোগী দেখেন!

আমি আমার কোন আত্মীয় স্বজনকে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হলে যে ডাক্তারের চেম্বারে রোগী কম সেই ডাক্তারকে দেখাই।

তাছাড়া নিজে নিয়ত করেছি, ভবিষ্যতে আল্লাহ কোনদিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হওয়ার সুযোগ দিলে (আল্লাহর রহমতে সে পথেই আছি) রোগীকে অত্যানুকুল সময় দিয়ে প্রতিদিন যে কয়জন সম্ভব , তার চেয়ে বেশি রোগী দেখবোনা।
কেননা আমার সমান বা বেশি যোগ্যতা বিশিষ্ট আমার সহকর্মীর অভাব নেই সারা দেশে । অন্য রোগীরা আমার অন্য সব সহকর্মীদের কাছে যাক। কারন বিবেক আর রিজিক বলে একটা কথা আছে।

আর কোন রোগীকে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হলে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া আমি সদ্য পাস করা ডাক্তারদের কাছেই পাঠাতে চেস্টা করি;
 কেননা (১) মাছি মারতে কামান দাগা লাগে না, এবং
 (২) এই ডাক্তারের আত্মীয়-স্বজন এবং পরিবারের সদস্যরা অনেক দিন ধরে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার আশায় বসে আছে।

লেখক > ডাঃ মোঃ মাকসুদ উল্লাহ

No comments:

Post a Comment