Friday, December 2, 2016

জীবনই শুরু থার্ড জেনারেশন দিয়ে.

পেরিফেরিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে সব বাচ্চা আমরা পাই তারা নামী বেনামি কোম্পানির থার্ড জেনারেশন খেয়ে আসে! সেফিক্সিম (থার্ড জেনারেশন সেফালোস্পোরিন) তিন দিন খেয়ে আপনার কাছে আসল। আপনি কি করবেন?


কন্টিনিউ করবেন নাকি সুইচ করবেন, 
নাকি কোম্পানি চেইঞ্জ করবেন, 
নাকি ইঞ্জেক্টেবলে যাবেন, 
নাকি ফার্স্ট জেনারেশনে ফিরে যাবেন?

আমাদের বেশিরভাগ ভাল ছাত্রের জীবনের লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া আর বেশিরভাগ ডাক্তারদের জীবনের লক্ষ্য বিজি প্র‍্যাকটিশনার হওয়া। দিনে ৫০-৬০ টা পেশেন্ট না দেখলে স্ট্যাটাস থাকেনা। পেশেন্টতো শুধু দেখলেই হবে না রোগও সারাতে হবে। রোগ সারাতে গিয়েই বিভিন্ন অষুধের অপপ্রয়োগ করা হয়। সব থেকে ডেঞ্জার জোনে আছে পেডিয়াট্রিক পেশেন্ট।

কিছু প্রশ্ন

তিন মাসের নিচে সালবিউটামল দিয়ে কোন লাভ হয়?
হুইজ না থাকলে কি প্রেডনিসোলন দেওয়ার দরকার আছে? অথবা ছয়মাসের আগেই কি এটা দেওয়া যায়?
সিপ্রোফ্লক্সাসিন কি বাচ্চাদের কোন ক্ষতি করে। রিস্কের চেয়ে বেনিফিট বেশি না হলে কি এটার ব্যবহার যুক্তিসংগত?

বেশি প্রশ্ন করে লাভ নেই। যে কোন পেডিয়াট্রিক্স আউটডোরে এক ঘন্টার প্রেস্ক্রিপশন ফলো করলেই দেখা যাবে বেশিরভাগ ড্রাগই পেশেন্টের বয়সে নির্দেশিত নয়। প্রাইভেট চেম্বারে এটা আরো বেশি হয়।

তাহলে ডাক্তাররা কেন লিখছেন। ঐযে বলেছিলাম "অমুক ডাক্তারের চিকিৎসায় রোগ ভাল হয়। উনি চেম্বারে দিনে ৫০ টার কম রোগী দেখেন না" এই সুনাম অর্জনের জন্য।

আমার পরিচিত পেডিয়াট্রিক্সের একজন প্রফেসর ছিলেন যার চেম্বারে খুব একটা রোগী আসতো না। কারণ তিনি রেশনাল প্র‍্যাক্টিস করতেন, কাউন্সেলিং বেশি করতেন, অষুধ কম লিখতেন অথবা লিখতেনই না। বাচ্চার সুস্থ হতে সময় লাগতো। তাই বাবা মারা আস্থা পেতেন না।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয় হয়। ওরা জীবনই শুরু করছে থার্ড জেনারেশন দিয়ে। এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্ট হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সিম্পল জ্বর ঠান্ডা কাশিই মহামারি হয়ে দেখা যাবে একসময়!

No comments:

Post a Comment